বুড়িচংয়ে ৫ বছর ধরে ভেঙ্গে আছে সেতু, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন
জে.এইচ বাবুঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদর থেকে শংকুচাইল পর্যন্ত সড়কটির রাজাপুর রেল স্টেশনের পাশে একটি সেতু ৫ বছর ধরে ভেঙ্গে আছে। প্রতিদিন ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, রাজাপুর রেল স্টেশনের পাশের সেতুটির মাঝখানের ঢালাই ভেঙ্গে আছে। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে খালের পানি দেখা যাচ্ছে, ব্রীজের কাজে ব্যবহৃত রডগুলি উন্মুক্ত হয়ে আছে। সড়ক দিয়ে চলাচলরত গাড়িগুলি ব্রীজের উপর দিয়ে হেলেদুলে যাচ্ছে। ৫ বছর পূর্বে ব্রীজের মাঝখানে প্রথমে ভাঙ্গে যায়। আস্তে আস্তে ওই ভাঙ্গা বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই ব্রীজটি দিয়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেলওয়ে ডাবল লাইনের কাজের কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গা অংশে স্টিলের সিট দেয়। পুনরায় ওই সড়কে গাড়ী চলাচল আরাম্ভ হয়।
বর্তমানে ওই স্টিলের সিটগুলি বাঁকা হয়ে গেছে, ফলে যে কোন সময় ব্রীজটিতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ওই সড়কে সিএনজি চালক আবুল কালাম জানান, বুড়িচং থেকে শংকুচাইল পর্যন্ত ওই সড়কটিতে প্রতিদিন সহস্রাধিক সিএনজি, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেলে করেন হাজার-হাজার মানুষ চলাচল করে। ওই ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে গাড়ী চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ওই সড়কে চলাচলরত ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দিয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের চড়ানল, হায়দ্রাবাদ, পাঁচোড়া, নবীয়াবাদ, শংকুচাইল, ঘিলাতলা, দক্ষিন গ্রাম, উত্তর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো লোকজন উপজেলা সদরে যাতায়ত করেন। ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকার কারনে যাতায়তে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত ব্রীজটি সংস্কারের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরুল হাসান বলেন, ব্রীজটি এল.জি.ই.ডি এর আওতাধীন, বুড়িচং থেকে শংকুচাইল পর্যন্ত সড়কটি পুনঃনির্মানের জন্য অনুমোদন হয়েছে সড়কটির সাথে ব্রীজটিও নতুন করে নির্মাণ করা হবে।