বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্রের আত্নহত্যা, চিঠিতে দায়ী করলেন এক শিক্ষককে
মো.জাকির হোসেনঃ কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান শ্রেনীর ছাত্র আহম্মদ উল্লাহ (১৭) বুধবার দুপুরে বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামে মামার বাড়িতে বাথরুমে গলায় গামছা লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। এসময় তার মরদেহের পাশে সাথে একটি চিঠি পাওয়া যায়। যেখানে সে কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে দায়ী করেছেন।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র বুড়িচং পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আহম্মদ উল্লাহ দুরত্বেও কারণে কিছু দিন ধরে তার মামা আবুল হোসেনের বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল।
বুধবার সকাল ৮ টায় গোসল করতে যেয়ে আহম্মদ উল্লাহ বাথরুমের ভেন্টিলেটর এর সাথে গামছা পেচিয়ে আত্নহত্যা করে। দীর্ঘ সময় সে বের হয়ে না আসায় ভেন্টিলেটর দিয়ে লাশ ঝুলে থাকতে দেখে দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী কাবিলা এলাকায় ইষ্টার্ণ মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাতে মৃত ঘোষনা করেন।
দুপুর একটায় বুড়িচং থানাধীন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশ এসআই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি বলেন, এসময় নিহত আহম্মদ উল্লাহর কোমড়ে লুঙ্গিতে পেঁচানো অবস্থায় থাকা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যেখানের শেষ অংশে লেখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য পারুয়ারা আব্দুল মতিন খসরু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সরল স্যারকে দায়ী করেছেন।