ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে রিটকারি আমানকে খুজঁতে কুমিল্লার বাড়িতে যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

মোঃ জহিরুল হক বাবুঃ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাউন্সিল বন্ধ নিয়ে আদালতে রীটকারী ছাত্রদলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৪ নং আমড়াতলী ইউনিয়নের বলেশ্বর বাড়ী ঘেরাও করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লা মহানগর মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটায়। এ সময় আমানুল্লাহ আমানের বাবা আবদুস সালামকে রীট তুলে নিতে হুমকী প্রদান করে যুবদল নেতৃবৃন্দ । পরে খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেেণ আনে।

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল সাক্কুর অনুসারী মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের একটি দল মটর বাইক যোগে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লাহ এর গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা সদর উপজেলার বলেশ্বর গ্রামে এসে তাঁর বাবাকে হুমকি দেয়। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এস আই তপন কুমার বাগচী, কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই খালেকুজ্জামান, সৈয়দ ফারুক,এএসআই মাসুদ রানাসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এস আই তপন কুমার বাগচী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা আমানুল্লাহর বাড়ীতে পৌছার আগে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। আমরা অনেক রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করি।

স্থানীয়রা জানান, আমানুল্লাহরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। বাড়ীতে আমানুল্লাহর বাবা মা ও দুই ভাবি গ্রামের বাড়ীতে থাকেন।

ঘটনার পরে আমানুল্লার ভাবী বিলকিছ জানান, দূর্বৃত্তরা গত শনিবার বাড়ীতে এসে হুমকী ধমকী দিচ্ছিলো যেন আমানুল্লাহ আদালতে করা রীট তুলে নেয়। এ সময় আমরা আতংকিত হয়ে পরি। পরে পুলিশ আসলে ওরা পালিয়ে যায়। এমন ঘটনায় এখনো আমরা আতংকিত অবস্থায় আছি।

বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, আমানুল্লাহ আমান বিএনপির রাজনীতি করে এতটুকুই জানতাম। কিন্তু আমানুল্লাহ যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা তা আমাদের জানা ছিলো না। শনিবারের সন্ধ্যার ঘটনা আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারি নি। পুলিশ থেকে তথ্য পেয়ে বুঝতে পেরেছি ছাত্রদলের কমিটি গঠনের বিষয়ে আদালতে রীট করার ঘটনায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে যেন অনাকাংখিত আর কোন ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা সচেষ্ঠ রয়েছেন।

এদিকে আমানুল্লাহর বাড়ীতে গিয়ে হুমকীর বিষয়ে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু জানান, আমরা মূলত কোন প্রকার হুমকী ধমকী প্রদান করতে যাই নি। আমরা যেহেতু একই দল করি আমরা আমানুল্লাহর বাড়ীতে গিয়েছি আমানুল্লাহ বাড়ীতে আছে কি না। কারণ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তার কোন খবর পাচ্ছিলো। আমরা চিন্তা করেছি আমানুল্লাহ হয়তো রাগ অভিমানের কারনে রীট করেছেন। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আমরা উনার অভিমানের বিষয়ে কেন্দ্রকে জানাবো। এছাড়া আর কোন উদ্দেশ্য ছিলো না।

আরো পড়ুন