কুমিল্লায় র্যাব সদস্যদের ১০ ঘন্টা পর ছাড়লো বিএসএফ
আশিকুর রহমানঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকার ভারত সীমান্তের ২০৫৯ পিলারের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে র্যাবের তিন সদস্যসহ ৫জনকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। পরে বিকাল চারটায় আশাবাড়ি সীমান্তের ভারত-বাংলাদেশের বিএসএফ-বিজিবির এক ঘন্টা পতাকা বৈঠকের পর ফেরত দেয় বিএসএফ।
তিন র্যাব সদস্য হলেন, র্যাব-১১ এর কনস্টেবল আবদুল মজিদ, কনস্টেবল রিগেন বড়ুয়া এবং সৈনিক ওয়াহিদ মিয়া। র্যাবের দুই সোর্স কুমিল্লার শুভপুরের খুকি লিজা ও কুমিল্লার সুজানগরের মনি আক্তার।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে র্যাব-১১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এ.এস.পি) মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় অভিযান চলাকালীন সময়ে র্যাব এর তিন সদস্যসহ দুইজন সোর্স আশাবাড়ি এলাকার ২০৫৯ পিলারের কাছে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের আবুল খায়ের মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। ওই বাড়ি থেকে খায়ের মিয়াকে আটক করে ধরে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে ভারতে স্থানীয় লোকজন ও ভারতীয় বিএসএফ দৌড়ে এসে তাদেরকে আটক করেন। পরে তাদেরকে বিএসএফ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বিজিবির সংকুচাইল ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল ইসলাম র্যাবের তিন সদস্যসহ একটি পিস্তল, ৭টি বুলেট, একটি ম্যাগজিন এবং তিনজনের পরিচয় পত্রসহ তাদেরকে ফেরত পেতে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে বেলা চারটার দিকে আশাবাড়ি এলাকায় ২০৫৯ পিলারের কাছে বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক করেন। ৫টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক। বৈঠক শেষে র্যাবের তিন সদস্যসহ ৫জনকে ফেরত দিয়েছেন বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন সংকুচাইল বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম এবং ভারতের বিএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আশাবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আর. জে. মিঠু।