বরুড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
বরুড়া প্রতিনিধিঃ বরুড়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরী। এ ঘটনায় পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পয়ালগাছা ইউনিয়নের সুদ্রা কান্দিরপার গ্রামের বাসিন্ধা ধর্ষিতার বাবা। তিনি স্থানীয় একটি বাজারে চা বিক্রি করেন। স্ত্রী গৃহিনী। তাদের অভাবের সংসারে রয়েছে ৪ মেয়ে ১ ছেলে, এর মধ্যে বড় মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেয়।
২ মেয়ে ঢাকায় বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। সর্ব কনিষ্ট মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। সে মেধাবীও বটে। ছোট ছেলেটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে।
থানা সূত্রে জানা যায়, আত্মীয়তার সুবাদে ননদের ছেলে রিয়াজের সাথে মুহিন ও রাসেল তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। মুহিন উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের দলুয়া ছোট তুলাগাও গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ও রাসেল একই গ্রামের আবু সাঈদ মজুমদারের ছেলে।
ঘটনার কিছুদিন পূর্বে তিনি শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে ছোট ছেলেটিকে নিয়ে ফরিদগঞ্জ তার বাপের বাড়িতে যান। মেয়েকে সংঙ্গে নিতে চাইলে সে তার কোচিং আছে বলে জানায়। মেয়েকে তার এক আত্বীয়ের বাড়িতে রেখে যান। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় গত পাচঁ মাস পূর্বে মুহিন, রাসেল ও তার সহযোগীরা একত্রিত হয়ে কিশোরীকে মুহিনের বসত ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে। কিশোরী ভয়ে ধর্ষনের বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানায়নি।
ধর্ষিতার মা জানায়, গত ৪ অক্টোর বুধবার কিশোরী অন্যদিনের মতো সে দিনও সে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট চলাকালিন কিশোরী ভমি করে। বিষয়টি সে গোপন করার চেষ্টা করে। এরপর থেকে সে শারীরিক ভাবে অসুস্ত্য হয়ে পড়ে। তার মা একাধিকবার অসুস্থ্যতার কারণ জানতে চেয়ে ব্যার্থ হয়ে তাকে জোর করে স্থানীয় মুদাফ্ফরগঞ্জ বাজারের একটি ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে নিয়ে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করে। এতে সে অন্তসত্বা হয়েছে বলে রির্পোটে বলা হয়। বিষয়টি কিশোরীর মা তার বাবাকে জানায়। পরে বাবা উত্তিজিত হয়ে মেয়েকে ধমক দিয়ে জানতে চাইলে সে রাসেল ও মুহিনের কথা জানায়।
এরপর সমাধানের আশায় জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয়দের ধারে ধারে গুড়ে কোন সাড়া পাননি। এবিষয়ে কিশোরীরর বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, ঘটনা শোনার পর বরুড়া থানায় মামলা গ্রহন করি এবং ধর্ষকদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতারও করেছি। তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। পলাতক আসামীদের ধরতে অভিযান অভ্যাহত রয়েছে।