কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ডা: মুজিব রাহমান
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পেলেন ডা: মুজিবুর রহমান। তিনি কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন পদে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিভিল সার্জন পদে যোগদানের পর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ব্যঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠা অবৈধ হাসপাতাল ও কিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে সক্ষম হন। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর কুমিল্লার সকল উপজেলার হাসপাতাল ও কিনিকে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে ঔষধ পাচ্ছেন। বিভিন্ন অবৈধ কিনিকে অভিযান পরিচালনা করে এগুলো বন্ধ সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
গতকাল ৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ডা: আমিন আহমেদ খান রংপুর বিভাগের বিভাগীয় পরিচালকের পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি গত বছরের ১২ অক্টোবর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে হাসপাতালের অনিয়ম, দুর্নীতি প্রতিরোধে তিনি সচেষ্ট হন এবং হাসপাতালের সেবার চিত্র উন্নয়ন করতে সক্ষম হন। বর্তমানে হাসপাতালে সাধারণ মানুষ সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা স্বল্প খরচে করতে পারেন। কোন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বাহিরে যেতে হচ্ছেনা। তাছাড়াও হাসপাতালের সরকারি সকল ঔষধ সাধারণ রোগীরা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা: মুজিবুর রহমান জানান, আমি হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছি। কুমিল্লা জেলার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন সহ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবো। কুমিল্লার সকল পর্যায়ের মানুষের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান ২০১৩ সালে ১৯ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে কুমিল্লা জেলা, উপজেলার হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কিনিক গুলো সুনামের সাথে পরিচালনা করেন ।
কুমিল্লা জেলায় অসংখ্যক অবৈধ হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। আর সেসব অবৈধ হাসপাতাল গুলো বন্ধ করার জন্য সিভিল সার্জন প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করেছেন।কুমিল্লাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান বিশাল অবদান রেখেছেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলা যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছে তাতে ডেঙ্গুতে কুমিল্লায় একজনেরও মৃত্যু হয় নাই। সারা বাংলাদেশে জেলা পর্যায়ে প্রচারণায় কুমিল্লা জেলায়ই প্রথম।
কুমিল্লা জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ডাটাবেইস প্রস্তুত ও ‘ব্লাড লিংক কুমিল্লা’ নামক অ্যাপস তৈরি এবং জনসেবা প্রদানে গুরত্বিপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি কুমিল্লা সিভিল সার্জন ২০১৯ জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিসের এক অনন্য সংযোজন, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার “অরুণোদয়ের অগ্নিশিখা”। কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় উঠার সিঁড়ির পাশের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সচিত্র ইতিহাস। সিঁড়ির দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণের ঐতিহাসিক সব মুহূর্ত।
সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা হাসপাতালে ভূষিত হয়। সিভিল সার্জনের সুযোগ্য নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশের সকল উপজেলার মধ্যে সেবাদানের র্যাংকিং (ঐঝঝ) এ দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলা ১ম ও ২য় সেরা উপজেলা হিসেবে ভূষিত হয়।