লাকসাম রেলওয়ে জংশনে ভাসমান মানুষগুলো থাকা ও খাবার সংকটে
চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় লাকসাম রেলওয়ে জংশনে থাকা ভাসমান মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এতে ভাসমান বৃদ্ধ, শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন সহ প্রতিবন্ধীরা খাবার ও থাকার সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় প্রায় শতাধিক ভাসমান বৃদ্ধ, শিশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন সহ প্রতিবন্ধীরা এখন তাদের খাবার জুটাতে পারছেনা। যারা একসময় ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে ভিক্ষা করে খাবার জুটাতো আর রাত্রে প্লাটফর্মে ঘুমাতো এখন রেলওয়ে জংশন গেইটে তালা বন্ধ করে দেয়ায় ওইসব ভাসমান মানুষেরা বাহিরে রাত্রি যাপন করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন স্থানীয় উদ্যোগে খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও ইদানিং তা বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে লাকসাম রেলওয়ে জংশনে ঘুরে দেখা যায়, প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে থাকা ভাসমান মানুষগুলো রাতে কোন গাড়ির আলো দেখে আর দিনের বেলায় কোন লোকজন দেখলে দৌঁড়ে এসে জিজ্ঞেস করে ভাই কিছু খাওয়াবেন।
এইদিকে এই প্রতিবেদক রেলওয়ে জংশনে গেলে সিলেটের মিনখাজ আলী, কুষ্টিয়ার শেফালী বেগম, চাঁদপুরের সুলতান আহমেদ, মুক্তা ও রাকিব নামের ভাসমান মানুষরা জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর আমাদেরকে দুপুরে বা রাতে কেউ খাবার দিলেও গত দুইদিন কেউ দিচ্ছে না। অপরদিকে দোকান-পাট ও ট্রেন বন্ধ থাকায় ভিক্ষাও করতে পারছি না। এতে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর খলিলুর রহমান জানান, এখানে ভাসমান মানুষগুলোর সাথে আশেপাশের লোকজনও জড়ো হয়ে সামাজিক দূরত্বের বিঘ্ন ঘটায়। তবে প্রকৃত ভাসমানদের বাছাই করে রেলওয়ে হাইস্কুলে আশ্রয় দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।