কুমিল্লায় ভোরবেলায় রেললাইনে নবজাতকের কান্না
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে রেললাইনে একটি নবজাতককে পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার বাকশীমুল গ্রামের রেললাইনের পাশে কান্নার শব্দ শুনে নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন ওই গ্রামের এক মাছ ব্যবসায়ী। পরে তাকে গামছা দিয়ে মুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যান।
ধারণা করা হচ্ছে, জন্মের পরপরই তাকে কোনো মা এখানে ফেলে রেখে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে বাকশীমুল গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার হোসেন রিকশাযোগে বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় রেললাইনের কাছে পৌঁছলে নবজাতকের কান্না শুনতে পান। রিকশা থামিয়ে কাছে যান তিনি।
গিয়ে দেখেন নবজাতক ছেলে শিশুটি কাপড় দিয়ে মুড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। হাত-পা নাড়াচ্ছে আর কাঁদছে।
রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে দেলোয়ার হোসেন শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিশুটির সেবা-শুশ্রূষা করেন।
রেললাইনে পাওয়ার খবরে এলাকার শত শত মানুষ দেলোয়ার বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল জলিল বাবার কাছে আবদার জানান শিশুটিকে তিনি লালন-পালন করবেন। কারণ জলিলের ছেলে সন্তান নেই।
আব্দুল জলিল জানান, আমার একটি মাত্র মেয়ে সন্তান আছে, আরেকটি ছেলে সন্তান প্রয়োজন। তাই তিনি তার মেয়ে সন্তানের মতো তাকেও আদর-যত্নে বড় করতে চান।
এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান জানান, তারা যদি নবজাতক লালন-পালন করতে চায় তাহলে সমাজসেবা অফিস এবং থানায় অবগত করে লালন-পালন করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা এই বিষয়টি শুনেছি। বর্তমানে শিশুটি তাদের আশ্রয়ে থাকবে। তবে যদি নবজাতকের পিতা-মাতার সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সূত্রঃ যুগান্তর