লাকসামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিক্ষকের উপর হামলা
কুমিল্লার লাকসামে ফেসবুকে সচেতনতামূলক স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল শিক্ষকের উপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের সুখতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হামলায় আহত ওমর ফারুক আজগরা হাজী আলতাপ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় তিনি লাকসাম থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল (বুধবার) রাতে আজগরা ইউনিয়নের সুখতলা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে আনোয়ার উল্লাহ চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন দোকানপাট ও লোকালয়ে ঘোরাফিরা করেন। বিষয়টি একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে আজগরা হাজী আলতাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওমর ফারুকের নজরে আসলে সচেতনতার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেন।
এতে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ায় অভিযোগ এনে শুক্রবার বেলা ১টার দিকে সুখতলা মধ্যপাড়া কাদিরের দোকানের সামনে ওমর ফারুক (৩৫) ও তার ভাই সোহাগ (২৭) কে রাস্তায় একা পেয়ে আনোয়ার উল্লাহ ও তার ভাই ডা. আবদুস সালামের নেতৃত্বে কমপক্ষে ৬ জন লোক এসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণ জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা শিক্ষক ওমর ফারুক ও তার ভাই সোহাগকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে নাকে-মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাদের হামলায় শিক্ষক ওমর ফারুক রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় শিক্ষকের মোবাইল ফোন চিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে নানা হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহত শিক্ষক ওমর ফারুককে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তিনি থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। মামলায় সুখতলা গ্রামের মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে ডা. আ. সালাম, আনোয়ার উল্লাহ, আহসান উল্লাহ ও আমান উল্লাহ এবং আমান উল্লাহর ছেলে শাহপরান ও সাহাব উদ্দিনকে বিবাদী করা হয়।
লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানায় জমা দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষকের উপর হামলা ঘটনায় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষকের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।