কুমিল্লায় পেঁয়াজের বাজারের ঝাঁজ
কুমিল্লার খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর নভেম্বর ডিসেম্বরে সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছিলো পেঁয়াজের বাজার। এবারও বছরের শেষে এসে আবারো পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ক্রেতা সাধারণের মাঝে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পেলো? তাই এখন সবার জানার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
নগরীর রাজগঞ্জ, নিউমার্কেট ও চকবাজার ঘুরে দেখা যায়,খুচরা পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজগঞ্জ বাজার থেকে ৩ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন আবু হাসান। একটি এনজিওতে চাকরি করেন। তিনি জানান, গত সপ্তাহ বা তার আগের সপ্তাহের আগে বাজার থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। এক সপ্তাহ বা আট/দশ দিন পরেই হুট করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে।
নগর কুমিল্লার জনবহুল ও ব্যস্ততম খুচরা ও পাইকার বাজার হলো রাজগঞ্জ। বাজারে খুচরা ও পাইকার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ। রাজগঞ্জ দৈনিক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক অর্থ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, গত সপ্তাহে পাইকারী কেজি প্রতি পেঁয়াজ কিনেছেন ২০/২২ টাকা দরে। বিক্রি করেছেন ২৫ টাকা কেজি। এখন সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারী পেঁয়াজ কিনছেন ৪১ টাকা ১০ পয়সা কেজি দরে। বিক্রি করছেন ৪৫ টাকায়। কেন হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন জানান, ভারতে নাকি বন্যা হয়েছে। এমন অযুহাতে পাইকার বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বেশী কিছু জানিন না। তবে স্বস্তিতে নেই খুচরা বিক্রেতারা। রাজগঞ্জ বাজারের মুদি দোকানীরা জানান, এক বস্তায় ৫০ কেজি পেঁয়াজ থাকে। এত দাম দিয়ে ৫০ কেজির পেঁয়াজের বস্তা যখন কিনি পরে খুলে দেখি অন্তত ২/৩ কেজি পেঁয়াজ পচা থাকে।
পাইকার বাজারে পেঁয়াজের দামের বিষয়ে নগরীর চকবাজারের আড়ৎদার শ্রী-গুরু বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার বিনয় চন্দ্র দত্ত জানান, বিভিন্ন কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে যেসব কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। কেউ বলেন ভারতে বন্যা হয়েছে। তবে আমরা যা দেখছি তা হলো আমাদের চাহিদা মোতাবেক ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। তবে এ সমস্যা বেশী দিন থাকবে না। যে পরিস্থিতি দেখছি আগামী পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।