ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর-বালিনা সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর-বালিনা সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় সড়কের দুই পাশে ভেঙ্গে এবং সড়কের মাঝখানে ছোট বড় গর্ত হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরেছে। প্রতিদিনি শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মালবাহী পিক্যাপ ভ্যান, শত শত সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা। এই সড়কে চলাচল কারী পথচারীরাও নেই ঝুঁকির বাহিরে। উপজেলা সদর থেকে দুলালপুর হয়ে বালিনা যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, দুলালপুর-বালিনা সড়কের বেশির ভাগ অংশেই ছোট বড় গর্ত হয়ে আছে। এ সড়কের বিভিন্ন অংশে দু’পাশ ভেঙ্গে খালে ও পুকুরে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যানবাহন ও পথচারীদের জন্য এক ঝুঁকিতে পরিনত হচ্ছে। যার জন্য শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চালক ও পথচারীদের।
দেখা গেছে, এ সড়কে কোথাও কোথাও চালকরা এবং যাত্রীরা সিএনজি ও অটো রিক্সা থেকে নেমে সড়কের পাশ থেকে মাটি ও ইট এনে গর্তে ফেলে তারা তাদের যানবাহন পারাপার করছে। কোথাও আবার যাত্রীরা পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে তাদের মালবাহী পিক্যাপ ভ্যান, শত শত সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা গর্ত পার করতে হচ্ছে।
এব্যাপারে আকরাম হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, আমি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। বর্তমানে এ সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যা আমাদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ভোগ। এ সড়কটি দিয়ে না পারতেছি হেটে চলাচল করতে, না পারতেছি যানবাহনে চলাচল করতে।
চালক আজাদ মিয়া বলেন, দুলালপুর-বালিনা সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার হচ্ছে না। আমরা এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর এ সড়কে চলাচলের কারনে প্রতিদিন আমাদের গাড়ি কোন না কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিদের আহবান জানাই।
স্থানীয় আবুল কাশেম জানান, কয়েকদিন পর পর ইঞ্জিনিয়ারগণ এসে এই সড়কটি মেপে যান। কিন্তু কাজের কোন অগ্রগতি দেখিনা। শুনেছি সড়কটি সংস্কারের জন্য নাকি নতুন করে আবারো অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু কেন যেন কাজ শুরু হচ্ছে না তা জানি না।
দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান রিপন ভূইয়া বলেন, উপজেলার বড়ধুশিয়া থেকে গোলাবাড়িয়া ও বালিনা খালপাড় হয়ে দুলালপুর-বালিনা এ সড়কটি সংস্কার কাজের জন্য মাননীয় এমপি এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতিতে সংস্কার কাজের বিলম্ব হচ্ছে। তিনি জানান, সড়কের ঝুঁকি পূর্ণ অংশ প্রাথমিক ভাবে সংস্কার করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বৃষ্টি শেষ হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।