কুমিল্লায় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হলেন তিন মেয়ে
কুমিল্লায় সম্পত্তি দখলের জেরে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মোহাম্মদ শাহ আলম মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী ও তিন মেয়ে হামলার শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৫ মে) কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আশিকুর রহমান একই এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শাহ আলম মজুমদার বলেন, আমি নিজের ঘর মেরামত করছিলাম। ওই সময় ভূমিদস্যু আশিকুর রহমান আমাকে কাজে বাধা দেয়। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি ও তার লোকজন আমাকে আক্রমণ করে। তখন আমার মেয়ে মারজানকে তা ভিডিও করতে দেখে আশিক মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। আমার মেয়ে মোবাইল উদ্ধার করতে গেলে আশিকের লোকজন তার চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায়। পরে মারজানকে উদ্ধার করতে আমি, আমার স্ত্রী ও দুই মেয়ে সামিয়া-সাবিহা ছুটে গেলে তারা আমাদেরও আটকে রেখে মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে আশিকের লোকজন চাপাতি দিয়ে কোপাতে আসে। তখন সামিয়া দৌড়ে আমাকে বাঁচাতে এলে তার হাতে কোপ লেগে একটি আঙুল কেটে যায়। এছাড়া আশিকের লোকজনের মারধরে মারজান অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর প্রতিবেশীরা এসে আমাদের উদ্ধার করে। গুরুতর অবস্থায় আমার দুই মেয়ে সামিয়া ও মারজান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে আমি বৃহস্পতিবার কেতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র জমিরুদ্দিন খান জম্পি বলেন, এই আশিকুর রহমান একজন ভূমিদস্যু। সে অন্য ওয়ার্ড থেকে এসে তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে শাহ আলমের জায়গার ভুয়া দলিল দেখিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। মানুষের জায়গা দখল করাই তার কাজ।
অভিযুক্ত আশিকুর রহমান বলেন, আমার জায়গা আমি দখল করতে গিয়েছি। কাউকে আক্রমণ করিনি।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সাইদুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহতদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ