উপেক্ষার আড়ালে কুমিল্লা শালবন বিহার ও জাদুঘর
মহিউদ্দিন মোল্লাঃ আয় বাড়লেও ব্যয় বরাদ্দ কমছে কুমিল্লা শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের। এতে সংকটে পড়বে দেশের এই উল্লেখযোগ্য পর্যটন প্রতিষ্ঠানটি।
বন্ধ হয়ে যাবে এর পরিচর্যা। ৬৬ লাখ টাকা যে বছর আয় হয়, তখন অন্যান্য ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৭০ হাজার টাকা। চলতি বছর এক কোটি ২২ লাখ টাকা আয় হলেও ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে মাত্র ৭০ হাজার টাকা। সূত্র মতে, কুমিল্লা মহানগর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে অষ্টম শতকের পুরাকীর্তি রয়েছে। শালবন বিহারের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ফুল গাছ ও পাতাবাহার লাগানো হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কুমিল্লা আসার জন্য রেল ও সড়কপথে যাতায়াতের সুব্যবস্থা থাকায় দর্শনার্থীরা এখানে সহজে আসতে পারেন।
সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে একটি আয় ও ব্যয় বরাদ্দের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বই-পত্রিকার বিল করা হয়েছে চার হাজার টাকা। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বই সংগ্রহের কথা থাকলেও এই টাকা পত্রিকা ক্রয়েই খরচ হয়ে যায়।
২০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে বীজ ও উদ্ভিদ কেনায়। এ খাতে এক ট্রাক্টর গোবর ক্রয় এবং পরিবহনে দুই হাজার টাকা খরচ হয়, বছরে ২০ ট্রাক্টর গোবর প্রয়োজন হয়। ওভারটাইম থেকেও ব্যয় কমানো হয়েছে। বিভিন্ন উৎসবে, সরকারির ছুটির দিনে কর্মচারীদের কাজ করানো হয়। কিন্তু তাদের ঠিকমতো ওভারটাইম দেওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পদ আছে ১৮টি। তার মধ্যে আছে ১৭ জন। এর মধ্যে ৫ জন রয়েছে ডেপুটেশনে। এত কমসংখ্যক জনবলে শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের রক্ষণাবেক্ষণে বেগ পেতে হয়। শালবন বৌদ্ধ বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে ব্যয় বরাদ্দ কমেছে, জনবলেরও সংকট রয়েছে।