গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসির) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। বৃহস্পতিবার ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন।
তিনি বলেন, সরকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুধু আমরা নয় আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইচ্ছুক। অবশ্যই আমরা চ্যালেঞ্জগুলো জানিয়েছি। ভর্তি কার্যক্রমের দীর্ঘসময়, শিক্ষার্থী সংকট ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা মাত্র একবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু সমস্যা তো ছিলই। অবশ্যই এক বছরে কোন বিষয়ের ফল পাওয়া যায়না। এ পদ্ধতিতে যে সমস্যাগুলো ছিল সেগুলা সমাধানে চেষ্টা করবে টেকনিক্যাল কমিটি। কেন্দ্রীয়ভাবে সবকিছুর আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। নতুন করে আরও ২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছতে যুক্ত হয়েছে।
এদিকে গত ৩১ মার্চ সময় ও আর্থিক হয়রানি, আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, শিক্ষার্থী সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনার কথা চিন্তা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির নানা অব্যবস্থাপনার কথা চিন্তা করে শিক্ষক সমিতি গুচ্ছতে পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে। আমরা অধিকাংশ শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যেতে উপাচার্য মহোদয়কে লিখিত দিয়েছি। এখন যেহেতু গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুবি। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে সকল শিক্ষকদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেওয়ার ঘোষণার পরপরেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের মক্তব্য করেন তারা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব মাহামুদ লিখেছেন, এবার শিক্ষার্থীদের হয়রানি আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আঞ্চলিক বিদ্যালয়ে পরিণত হওয়াটা কী উনারা দেখেন নি? চোখ কান বন্ধ করে এভাবেই চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন করতে।
সাঈদা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, না নেওয়াই উত্তম ছিলো। হয়রানির পাশাপাশি আর্থিক সংকট। আবু হুরাইরা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আঞ্চলিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে বেশী দূর নেই। আমাদের ব্যাচের ৬৫% কুমিল্লার বাহিরের শিক্ষার্থী, দেশের আনাচে কানাচে থেকে এসেছে। এদিকে ডিপার্টমেন্টের ১৫ তম ব্যাচের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীই কুমিল্লা আর এর আশেপাশের এলাকা থেকে, গুটি কয়েক ঢাকা আর চিটাগাং থেকে!
উল্লেখ্য, গতবছর প্রথমবারের মত গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্তর্ভূত হয়েছে।