এবার সংসদ নির্বাচনে বাহারের প্রতিদ্বন্দ্বী সাক্কু, গুঞ্জন জোরালো
গেল বুধবার (১৫ জুন) শেষ হলো কুমিল্লা সিটি করপোশেনের ভোটগ্রহণ। নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জিতেছেন সেই নির্বাচনে। অনেক প্রার্থী এখনও জয়-পরাজয়ের হিসাব কষছেন সেখানে। অপর দিকে ৩৪৩ ভোটে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিরুল সাক্কুকে নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও চার কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগ মুহূর্তের হট্টগোলসহ নানা কারণে ঘোষিত ফলাফল নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই সংসদ নির্বাচনে সাক্কুর প্রতিদ্বন্দ্বিতার গুঞ্জন ছড়িয়েছে বেশ জোরেশোরে।
অল্প কয়েক ভোটের ব্যবধানে নগর পিতার আসন হারানো সাক্কুর কর্মী-সমর্থকরা তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বলছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির কথা।
নুরুন নবী। মনিরুল হক সাক্কুর সমর্থক তিনি। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, ‘ইনশাল্লাহ! আগামীতে কুমিল্লা-৬ আসনে সংসদ নির্বাচন করবেন প্রিয় নেতা মনিরুল হক সাক্কু।’ সাবেক দুই বারের এই নগর পিতাকে নিয়ে দেখা গেছে আরও বেশ কয়েকটি পোস্ট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাক্কুপন্থী এক বিএনপি নেতা জানিয়েছেন, ‘সাক্কু বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন। দল থেকে না পেলে নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও দীর্ঘদিনের রাজনীতির সহযোগী আ ক ম বাহার ও বিএনপির অপর গ্রুপ হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিনের ওপর ক্ষোভ থেকেই তার এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। এ বছর কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সাক্কুর পরাজয়ে এই দুটি গ্রুপ ছিল প্রধান কারণ। নিজ দল বিএনপির ইয়াসিন গ্রুপ থেকে কায়সারের প্রার্থিতা ও রাজনীতির সাবেক সহযোগী সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্বাচনে অসহযোগিতার পাশাপাশি নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে ব্যবহার করে সাক্কুর পরাজিত করা হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন ও আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে চ্যালেঞ্জ করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী কবির আহমেদ জানান, সাক্কু ভাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা করবেন। এটা শতভাগ নিশ্চিত। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করেছেন তিনি। সবার সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।