কুমিল্লায় যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশ শাহিন মজুমদার নামে এক যুবলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের গেদু মজুমদারের ছেলে। তবে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যজাল সৃষ্টি হয়েছে।

শাহিনের ছোট ভাই মাঈন উদ্দিন বলেন, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে থানা পুলিশ এসে আমাদেরকে ডেকে বলে তোমরা কয় ভাই? আমি জবাবে বলি তিন ভাই। শাহিন মজুমদার, মাঈন উদ্দিন মজুমদার ও আইন উদ্দিন মজুমদার। এ সময় পুলিশ বলে, ঘর থেকে বের হয়ে আমাদের সাথে আস। আমি পুলিশের সাথে গেলে বাড়ির থেকে কিছু দূরে সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে আছে। আলো দিতেই দেখি মরদেহটি আমার বড় ভাই শাহিন মজুমদারের। এ সময় দেহটির বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাই। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে আসে।

মাঈন উদ্দিন আরও বলেন, আমার ভাই স্ব-পরিবারে নাঙ্গলকোটের ভুশ্চিতে বসবাস করতো। তার আবদুল্লাহ নামে চার বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। রবিবার রাত আনুমানিক নয়টার সময় ভুশ্চি থেকে বাসায় এসে খাবার খেয়ে বের হয়ে যায়। তারপর আজ সোমবার ভোর রাতে পুলিশের মাধ্যমে তার রক্তাক্ত মরদেহটি শনাক্ত করি। আমার ভাইকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা শেষে মরদেহটি সড়কের পাশে রেখে গেছে। তিনি যুবলীগের স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে।

শাহিনের মা ছালেহা বেগম কান্নাজড়িত বলেন, আমার বুকের ধন রাতের শেষ খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হয়। ভোর রাতে পুলিশের মাধ্যমে জানি, সে মারা গেছে। আমার আমি বুকে ধনকে জড়িয়ে ধরে দেখি, শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। তাকে কেউ হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে।

স্ত্রী সুশমা প্রকাশ আখি বলেন, রাত আটটার দিকে শাহিনের মোবাইলে পর পর দুটি কল আসে। এরপর তিনি খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। মোবাইলগুলো থেকে নাম্বার বের করে ওই ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই শাহিনের মৃত্যুর রহস্য বের হয়ে আসবে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, রাত পৌনে তিনটার দিকে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায়, ছাতিয়ানী পশ্চিম পাড়ায় সড়কের পাশে একটি মরদেহ পড়ে আছে। আমি পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসি। মরদেহের শরীরে আঘাতে চিহ্নগুলোতে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কোন অজ্ঞাতনামা গাড়ি তাকে চাপা দিলে তার মৃত্যু হয়। তারপরও মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আরো পড়ুন