কুমিল্লায় অটোরিক্সা থেকে ১৬ লাখ টাকার চুল ছিনতাই করলো ছাত্রলীগ নেতা
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা থেকে ১৬ লাখ টাকার চুল ছিনতাই করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাজিদুল আলম। এ ঘটনায় সোমবার (১ আগষ্ট) রাত ৮ টার দিকে মালামালসহ অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল জব্দ এবং একজনকে আটক করেছে বুড়িচং থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় ইয়াকিন হিউম্যান হেয়ার প্রসেসিং এন্ড সাপ্লাই এর প্রতিষ্ঠানের মালিক হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানাতে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ইয়াকিন হিউম্যান হেয়ার প্রসেসিং এন্ড সাপ্লাই এর প্রতিষ্ঠানের ৮ বস্তা চুল অটোরিকশা দিয়ে কুমিল্লা-বুড়িচং-মীরপুর প্রধান সড়ক দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিয়ে যেতে ছিলেন। এমন সময় ওই অটোরিকশা খাড়াতাইয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি ছিনতাইকারী দল অটোরিকশাকে গতিরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে চালককে মারধর করে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে আগানগর এলাকায় এনে অটোরিকশার মালামাল অন্য অটোরিকশায় পরিবর্তন করে কণ্ঠনগর দিকে নিয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানের মালিক হুমায়ুন কবির বুড়িচং থানাতে অভিযোগ করলে ওসি মারুফ রহমানের নির্দেশনায় এসআই শরীফুর রহমান ও তার সঙ্গীয় ফোর্স প্রাথমিক ভাবে একটি সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে। উক্ত ফুটেজে ছিনতাইকারীকে চিহৃিত করে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অটোরিকশা চালককে আটক করে। পরে তার ভাষ্যমতে কণ্ঠনগর একটি বাড়ি থেকে চুলগুলো উদ্ধার করে এবং ছিনতাইকারীর ব্যবহারিত মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা জব্দ করে। আটককৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১৬ লক্ষাধিক টাকা।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরীফুর রহমান জানান, ইয়াকিন হিউম্যান হেয়ার প্রসেসিং এন্ড সাপ্লাই এর প্রতিষ্ঠানের মালিক হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ছিনতাইকারী সাজিদুল আলমকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানাতে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রধান আসামি হলো ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া গাজীপুর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাজিদুল আলম। আকটকৃত অটোরিকশা চালকের বাড়ি রাজাপুর ইউনিয়নের উত্তর গ্রামের তাঁরা মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম(২৫)। বর্তমানে সে খাড়াতাইয়া গাজী বাড়িতে থাকে। আরেকজনকে আটক করে এনে থানায় জিজ্ঞেসাবাদ চলছে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিনিধিকে জানান, এ ঘটনায় থানাতে একটি মামলা হয়েছে। অটোরিকশার চালক আটক হয়েছে এবং তার স্বীকারোক্তিতে বর্ণিত মালামালসহ অটোরিকশা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে মামলার প্রধান আসামি সাজিদুল আলমকে চিহৃিত করা হয়েছে। আসামি আটকের জন্য আইনগত প্রক্রিয়াধীন অব্যাহত রয়েছে।