কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
সিনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধরের পুরনো ঘটনার জের ধরে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সকালে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনার রেশ শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টায় তিন দিন আগের বাসে সিট রাখার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সিফাতকে মারধর করেন ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদমান সাকিব মবিন, রবিন দাশ, মিরাজ হাসান, ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ মোল্লা, রিয়াজুল ইসলাম বাঁধন ও ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখার উপ-নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক মো. রবিউল আলম রিয়াজ। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বসে ঘটনার সমাধান করে দিয়েছিলেন।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুরনো সেই ঘটনা নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঝে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এ সময় কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ শাখা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা মিলে বিষয়টির সমাধান করতে শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে একত্রিত হয়। এ সময় দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আক্রমণাত্মক অবস্থা বিরাজ করতে দেখা গেছে।
এই বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা ঘটনার সমাধান করতে বসেছিলাম। কিন্তু দুই হলের কর্মীরা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় রোববার রাতে কোনো সমাধান সম্ভব হয়নি। এ ঘটনা নিয়ে সোমবার (২৯ আগস্ট) তদন্ত কমিটি গঠন করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন থমথমে অবস্থা সম্পর্কে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। এটা ছাত্রদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা, তাই তারা সমাধান করতে বসেছে। যদি তারা সমাধান করতে না পারে, তাহলে আমরা প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।