বুড়িচংয়ে রামপুর-গোবিন্দপুর সড়ক ব্যবহারের অনুপযোগী
বুড়িচং সংবাদদাতাঃ গোমতী নদী দ্বারা বিভক্ত বুড়িচং উপজেলাকে পালপাড়া ব্রীজ যেভাবে জেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছে, গোবিন্দপুর ব্রীজটি তেমনি ঢাকা,সিলেট বা দেশের অন্যান্যস্থান থেকে ময়নামতি সেনানিবাস হয়ে বুড়িচংয়ে সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন শ্রেনীর যারবাহনে করে প্রতিদিন উপজেলা সদরে নানাস্থান থেকে আসা-যাওয়া করছে। তবে এই গোবিন্দপুর ব্রীজটির পশ্চিম অংশের রামপুর-গোবিন্দপুর সড়কটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে। স্থানীয়দের অভিযোগ ৬ মাসেরও কম সময়ে বিপুল টাকা ব্যয়ে সড়কটির নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের এবিষয়ে কোন খবর নেই।
স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলা সদরের সাথে রাজধানী ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেটসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে সড়ক পথে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা হয়ে বুড়িচং উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগে গোবিন্দপুর ব্রীজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ছাড়াও বাস বা অন্যান্য যানবাহনে করে বুড়িচং উপজেলা সদর ছাড়াও পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়াসহ আশপাশের বহুস্থানে মানুষ যাতায়াতে এই সড়কটি ব্যবহার করছেন।
রামপুর এলাকার একাধিক লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সড়কটির রামপুর গোবিন্দপুর অংশটি সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হলেও নিম্নমানের কাজের কারনে খুব স্বল্প সময়ে সড়কটি আবারো ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি দেখলে বুঝার উপায় নেই এখানে ইট-পাথরের সড়ক ছিল? স্থানীয় সুত্র আরো জানায়, নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি প্রতিদিন গোমতী নদীর গোবিন্দপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তোলনকৃত বালু এই সড়ক পথে অসংখ্য ট্রাক, ট্রাক্টরযোগে পরিবহন করার ফলে সড়কটির পুরো অংশের পিচ উঠে গিয়ে কর্দমাক্ত সড়কে পরিনত হয়েছে।
সড়কটি দেখলে বোঝার উপায় নেই এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন দিয়ে এই সড়ক পথে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করেন। তবে সড়কটির বেহাল দশার কারণে জনগণের দুর্ভোগ এই মুহুর্তে চরমে। ট্রাক-ট্রাক্টরে অবাধে বালু পরিবহনে সড়কটির বেহাল দশার বিষয়টি জানতে বালু উত্তোলনে জড়িত বিল্লাল হোসেন জানান,আমি বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে সেটা তুলছি,বালু পরিবহন করছিনা। যারা বালু পরিবহন করছে তাদের সাথে কথা বলেন। এদিকে বুড়িচং উপজেলা প্রৌকশলী’র সাথে কথা বললে তিনি জানান,রাস্তার কাজটি প্রায় এক বছর হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ওজনের বালু বাহী গাড়ি চলাচলের কারণে সড়কটির বেহাল দশা।