কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাত্র ৭৮ দিনে কোরআনে হাফেজ
কোরআন আল্লাহর বাণী। যা মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) উপর আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটি একটি মুজিজা বা অলৌকিক গ্রন্থ যা মানব জাতির পথ নির্দেশক হয়ে কাজ করছে। মুসলমানদের বিশ্বাস, কোরআনে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার মাত্র ৭৮ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল কোরআন মাদরাসার চার শিক্ষার্থী। ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজা মাকসুদা আক্তারের তত্বাবধানে তারা কোরআন মুখস্ত করে দুই মাস ১৮ দিনে।
চার জন শিক্ষার্থী হল জেলার দেবিদ্বার উপজেলা পৌর ফাতেহাবাদ গ্রামের আবু তাহেরের কন্যা হালিমা আক্তার (১২),হেতিমপুর গ্রামের লিটন মিয়ার কন্যা ইফরাত আক্তার (৯),জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কান্দুঘর গ্রামের ইদন মিয়ার কন্যা শিশু ইসরাত জাহান স্বর্ণা (৯) ও জাহাঙ্গীর আলম এর কন্যা সাদিয়া আক্তার (১১)।
মাদরাসার সূত্রে জান যায় বুধবার শিশুদের কোরআন মুখস্থ শেষ হয়। এ বছরের ২ অক্টোবর তারা কোরআন শেখা শুরু করে এবং ৭৮ দিনে কোরআন মুখস্থ করে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুফতী আবু বকর আল মাদানী বলেন, দুই বছর আগে আমাদের মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করি। দেড় বছর আগে চার শিক্ষার্থী আমার মাদরাসায় ভর্তি হয়। আমাদের ৫ জন শিক্ষক ও ৫ জন শিক্ষিকার শ্রমের সুফল তারা।
উল্লেখ্য আল কুরআনে হাফেজদের মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে এবং একে হিফয করবে এবং এর যাবতীয় হালাল বিষয়গুলোকে হালাল ও হারাম বিষয়সমূহকে হারাম মনে করবে আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। শুধু তাই নয়,তার পরিবারস্থ এমন দশ ব্যক্তির ব্যাপারে তার সুপারিশ মকবুল হবে যারা দোযখে যাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছিল।(তিরমিযী শরীফ)।