কুমিল্লা স্থলবন্দরের অচলাবস্থায় পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকেই দুষলেন মন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, বন্দরের জায়গার মালিক আমরা কিন্তু বন্দরটি পরিচালিত হচ্ছে প্রাইভেটে। তাদের উদ্যোগের বেশ অভাব। তারা সরকারের সাথে প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে তদবির করা বা যোগাযোগ করা সেটা তারা করছে না। দেশের বন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দূরাবস্থা এই বন্দরটির বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ৬টি বন্দর প্রাইভেটে চলছে, ওইসকল বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে কিন্তু কুমিল্লা বন্দরের কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে তেমন যোগযোগ করে না। আমি মন্ত্রী হয়ে নিজেই এপর্যন্ত ৪বার বন্দরটি পরিদর্শনে আসি। মন্ত্রী আজ শনিবার কুমিল্লায় বিবির বাজার স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বন্দর ছিল ২টি। বর্তমান সরকার ৯টি বন্দর বৃদ্ধি করেছে বর্তমানে দেশের মোট বন্দর ১১টি। ২০০৮ সালে বন্দর থেকে আয় ছিল ২৬কোটি টাকা। বর্তমানে ২০১৬ সালে আয় বেড়েছে ১১১কোটি টাকা। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, এই বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোকে দেখা ও সমস্যাগুলোকে বোঝার জন্য এসেছি। আগামী ফেব্রুয়ারীতে বন্দরটির উপদেষ্টা কমিটির সাথে বসবো যাতে করে বন্দরটির একটা সামগ্রিক উন্নয়ন করা যায়। বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়, বন্দরের আয় বৃদ্ধি পায়, যাত্রী সাধারন যেন সেবাটি পায় সে বিষয়গুলোই সে মিটিংয়ে আলোচনা হবে।
কুমিল্লা সদর উপজেলার কটক বাজার সীমান্তে বিবির বাজার স্থল বন্দরটি ২০০৯সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা টানাপোড়েন আর সংকটের মধ্যেই চলছে বন্দরটি। বন্দর পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: হাসান আলী, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন কুমিল্লার সভাপতি নির্মল পাল উপস্থিত ছিলেন।