কুমিল্লায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে
এ এক আজব সেতু! খালের উপর নির্মিত সেতুর দুই পাশে বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো পার হয়ে উঠতে হয় সেতুতে। ফলে অনেকে সেতুতে ওঠার আগেই আছড়ে পড়েন খালে। সেতুটি কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ১নং শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদ ৪নং ওয়ার্ডের রোয়াচালা গ্রামের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহিনা আক্তারের বাড়ির দক্ষিণ পাশে। সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ২ বছর হলো। কিন্তু দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর সুফল পাচ্ছে না গ্রামবাসী। প্রজেক্ট ম্যানেজার ও ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহিনা আক্তারের গাফিলতিতে জনদুর্ভোগ পড়েছে রোয়াচালা ও কুড়াখাল শত শত গ্রামবাসী। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেতুটির পাশে সংযোগ না থাকায় এলাকাবাসী পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। রাস্তা নেই। খালের ওপর ৬ ফিট উঁচু সেতু।
সেতুর দুই পাশে বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো পাড়ি দিতে বয়স্ক নারী-পুরুষ, কেজি স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পড়ে যাচ্ছে খালের পানিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক (৮০), চাঁন মিয়া (৬২) ও ফজলুল হক (৬০)সহ আরও অনেকে বলেন, মুরাদনগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (এলজিএসপি-৩), অধীনে রোয়াচালা আহাদ বাড়ির সামনে কুড়াখাল রাস্তায় প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হয়। প্রকল্পের ম্যানেজার ১নং শ্রীকাইল ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহিনা আক্তার, সভাপতি ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মাকসুদার ইসলাস। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ করার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সেতুর দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে স্থানীয় জনগণ তার কোনো সুফল পাচ্ছে না। বরং দুর্ভোগ বেড়েছে হাজার হাজার মানুষের। স্থানীয়রা দ্রুত সেতুটির জন্য একটি রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এখানে সেতু আছে কিন্তু রাস্তা নেই। আমরা চাই দ্রুত যেন রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ১নং শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষিণ মহিলা আসনের সদস্য-১, ২, ৩ শাহিনা আক্তার জানান, সেতুর কাজটি আমিই করেছি। সেতুর দুই পাশে খাসের জায়গা।
বিলে খাসের জমি আছে। বিলের খাসের মাটি দিয়ে সেতুর দু’পাশে মাটি ভরবো। বৃষ্টির পানি এসেছে। তাই সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করতে পারি না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল হাই খান বলেন, খুব শিগগিরই সরজমিন যাবো। এখানে দুটি সেতুর মধ্যে একটি এলজিএসপি’র।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার (এলজিইডি) মোহাম্মদ রায়হানুল আলম বলেন, এই কাজ আমার নয়। ইউপি’র চেয়ারম্যান কুমিল্লা থেকে এনেছে।