যুদ্ধের ময়দানেও নারীদের ওপর আক্রমণ করা ইসলামে নিষিদ্ধ: হেফাজত
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ছয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজেদুর রহমান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে ছয় শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েদেরও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এমনকি হাসপাতালে ঢুকেও আহতদের ওপর হামলা করা হয়েছে। যুদ্ধের ময়দানেও নারীদের ওপর আক্রমণ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনেরও চরম লঙ্ঘন। অথচ আলোকিত জাতীয় বিদ্যাপীঠে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলা কোনও বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবি অত্যন্ত ন্যায়সংগত একটি দাবি। কোটার নামে মেধাবীদের বঞ্চিত করা জুলুম। ইসলাম সব ধরনের জুলুম ও বৈষম্যের বিপক্ষে। সংবিধান অনুযায়ী কোটা প্রাপ্যদের সাথে সংগতি রেখে ন্যায়ানুগ অনুপাতে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সংস্কার করে বিদ্যমান সংকট ও অস্থিরতার নিরসন করা সম্ভব। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষ রাখা জরুরি। দমনপীড়নের মাধ্যমে সমাজকে বিভক্ত করলে তা রাষ্ট্রের শেকড়কে দুর্বল করে দেয়। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।
হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তারা দেশের ভবিষ্যৎ। আলোচনার মাধ্যমে তাদের ন্যায়সংগত দাবির সমাধানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা নিহতদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া, তারা আহতদের দ্রুত সুস্থতা এবং নিহতদের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানান তারা।