মুরাদনগরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রীর বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুরাদনগরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ষষ্ঠ শ্রেনির স্কুল ছাত্রী সামহা।
বারো বছরের মেয়েকে চুপিসারে বিয়ে দিতে গিয়েও অবশেষে বিয়ে দিতে পারলেন না। বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাল্য বিবাহ রোধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম। ১৮বছরের পূর্বে মেয়ে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে বর ও কনে পক্ষ।এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত নটায় মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর ফুলপাড়া গ্রামে।
স্থানিয় সুত্রে জানা যায় মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর ফুলপাড়া গ্রামের মাও: মো: ইসহাকের ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়–য়া মেয়ে মাসিহা ইশরাত সামহা’র(১২) সাথে বাখরনগর গ্রামের মাও: সামির হোসেনের ছেলে মাসুম বিল্লাহ(৩০) এর বিবাহের দিন ধার্য্য ছিল গত শুক্রবার রাত নটায়। ওই দিন রাত ৮টার সময় মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বিষয়টি জানতে পেরে মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার ভূমি মো: রায়হান মেহবুবকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান।রাত নটায় তার উপস্থিতি টেরপেয়ে বর পক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় মেয়ের বাবা স্বীকার করেন তার মেয়ের বয়স বারো বছর এবং সে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
পরে কনে ও বর পক্ষ তাদের অপরাধ স্বীকার করে ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে না করার শর্তে উভয় পক্ষ মুচলেকা প্রদান করে।
বাল্য বিবাহ রোধে এ সময় সহকারি কমিশনার ভূমি মো: রায়হান মেহবুবকে সহায়তা করেন নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী আবুল খায়ের, মুরাদনগর থানার এস আই গোফরানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, শিক্ষক ও সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, মো:মাহবুব আলম আরিফ, সদর ইউনিয়নের তহসিলদার ছগীর আহমেদ, ইউপি সদস্য রাম প্রসাদ দেব, আ’লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বাল্য বিবাহ রোধে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।