নাঙ্গলকোটে চিকিৎসা শেষে ফিরে আসা সুমনকে ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক সুমনকে হত্যার চেষ্টায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে, হামলায় আহত হওয়ার পর দীর্ঘ ১৮দিন হাসপাতাল চিকিৎসা শেষে ফিরে আসা ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক সুমনকে ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওইদিন সকালে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে উপজেলা ছাত্রলীগ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে তাঁকে লাকসাম থেকে বরণ করে নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলায় আহত হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসায় সুমনকে উপজেলা সদরের হাজার-হাজার জনতা ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ভালোবাসায় বরণ করে নেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল খায়ের আবু, মৌকরা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের, উপজেলা যুবলীগ সদস্য সফিউল আলম সুমন, কবির আহমেদ, মক্রবপুর ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানসহ উপজেলা ও ইউপি আ’লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অসুস্থ আবদুর রাজ্জাক সুমন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আমার উপর এ নিন্দনীয় হামলা ছিল সু-পরিকল্পিত। আমাদের প্রিয় নেতা, এলাকার উন্নয়নের অগ্রদ্রুত পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল (লোটস) এর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করার হীন উদ্দেশ্যে আমার উপর এ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমাদের প্রিয় নেতা লোটাস কামালের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে আমরা সর্বদা জাগ্রত থাকবো। তিনি সকল নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার উপর নিন্দনীয় হামলার বিচারের দায়িত্ব এলাকাবাসীর উপর অর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪মার্চ দুপুরে উপজেলা পরিষদের একটি অনুষ্ঠান অংশগ্রহন শেষে দুপুরের খাবার খেতে নাঙ্গলকোট পৌর বাজারের মোল্লা হোটেলে গেলে ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সুমনকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিশুর নেতৃত্বে ১০/১২ জন লোক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুঁটে এসে আশংকাজনক অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।