কুমিল্লা বাদুরতলায় মেয়াদ উত্তীর্ণ জুতা বিক্রির হিড়িক
মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লা মহানগরীর বাদুরতলা এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ দেশের অন্যতম সেরা বাটা কোম্পানীর বিভিন্ন সাইজের সেন্ডেল,জুতা ছাড় দিয়ে বিক্রি করছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। নামী প্রতিষ্ঠানের তৈরী জুতা,সেন্ডেল কম মূল্যে ক্রয়ের সুযোগে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতা পণ্যেও গুণগত মান যাচাই না করেই কিনছে । এতে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। দায়িত্বশীল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন ২০-৬০ শতাংশ ছাড় দিয়ে বিক্রি করা পণ্যের কতটুকু গুণগত মান আছে সেটা প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে নগরীর বাদুরতলা এলাকা ঘুরে পাওয়া চিত্রে দেখা গেছে,পুরো বছরজুড়ে কান্দিরপাড়-পুলিশ লাইন সড়কের বাদুরতলা এলাকায় রূপা,অজান্তাসহ সাইনবোর্ডবিহীন কয়েকটি দোকানে বিরাট মূল্য হ্রাস সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কিছু ব্যবসায়ী মে,য়াদ উত্তীর্ণ নারী,পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়েদেও জুতা,সেন্ডেল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি করছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ওই দোকানীরা ডিসকাউন্ট বা মূল্য হ্রাস লেখা ব্যানার টানিয়ে ক্রেতাদেও আকৃষ্ট করলেও সরেজমিন ঘুওে দেখা গেছে শভঙ্করের ফাঁকি। সবগুলো জুতা বা সেন্ডেলই মেয়াদ উত্তীর্ণ। এক কথায় পরিত্যক্ত।
কথা হয় দোকানে জুতা কিনতে আসা সায়েমের সাথে। তিনি বলেন,এখানকার দোকান থেকে প্রথম প্রথম জুতা,সেন্ডেল ক্রয় করলেও মান খালো না হওয়ায় এখন আর ক্রয় করিনা। তিনি আরো বলেন,জুতা বা সেন্ডেল ক্রয় করার পর ফিওে এসে কোন অভিযোগ করলে সেটা আমলে নেওয়া হয়না।
এব্যাপারে বাদুরতলা এলাকায় ডিসকাউন্টে জুতা ,সেন্ডেল বিক্রয়কারী জাহাঙ্গীর নামের এক দোকানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি রিজেক্ট মাল বিক্রি করি। কেনার পর ক্রেতার কোন অভিযোগ আমলে নেই না। পরিত্যক্ত মাল বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। দেশের অন্যতম বৃহৎ জুতা,সেন্ডেল উৎপাদন ও বিপননকারী বাটা’র নামে মুল্য হ্রাসে বিক্রি করায় ওই ব্র্যান্ডের মালামালের গুণগতমান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ক্রেতা জানান,কম দামে ক্রয় কওে নিয়ে দেখা গেছে দু/চারদিনেই জুতা বা সেন্ডেল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল সুত্র জানায়,এক হাজার থেকে দেড়/দু হাজার টাকার চামড়াজাত জুতা/সেন্ডেল ৪/৫’শ টাকায় বিক্রির লোভনীয় অফারে ক্রেতারা হুমরি খেয়ে ভীড় করছে ওইসব দোকানগুলোতে। আর প্রতিদিন এভাবে কম মূল্যে বেশী দামের পণ্য কেনে বাড়ি ফিরে ২/৪ দিন ব্যবহার করেই প্রতারণার বিষয়টি টের পাচ্ছেন। পন্যেও গুণগত মান নিয়ে বিক্রেতাদেও সাথে আলাপকালে তারা জানায়,ক্রয় করে অল্প কয়েকদিন ব্যবহার করার পরই জুতা বা সেন্ডেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিন,মাসের পর মাস,বছরজুড়ে রিজেক্ট বা পরিত্যাক্ত মালামালের অগোচরে মূল্য হ্রাসের ঘোষনা দিয়ে শত শত মানুষকে প্রতারিত করলেও প্রশাসন এব্যাপারে নিচ্ছেনা কোন পদক্ষেপ।