কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে না

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার কবির অন্তু হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলার নামোল্লেখিত একমাত্র আসামি লিমন ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। আর তদন্তের সার্থে এখনই কিছু না বললেও পুলিশ বলছে, অচিরেই আলোচিত এ হত্যার রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকটি অভিযানও চালানো হয়েছে। এছাড়াও হত্যায় জড়িত বেশ কয়েকজনের নামও এসেছে পুলিশের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশের কয়েকটি টীম তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তে সহযোগিতা করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তের সার্থে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি ওসি আবু সালাম।
কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে নালিমন ছাড়া আর কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি উল্লেখ করে ওসি বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আমার গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছি। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না; তবে অচিরেই এ হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে আসবে।
অপরদিকে অন্তুর পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।
জানতে চাইলে কলেজ ছাত্র অন্তুর পিতা কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার আদরের অন্তুকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, ওসি সাহেব আমাকে আশ্বস্থ করেছেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে, দ্রুতই গ্রেফতার করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তদন্তের সার্থে তাকেও কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন হুমায়ূন কবির। তবে তিনি আশাবাদী, পুলিশ অচিরেই এর রহস্য উন্মোচন করবে।
কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে নাএর আগে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ৮টায় মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নগরীর ধর্মসাগপাড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় কলেজ ছাত্র শাহরিয়ার কবির অন্তুকে। সে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার হুমায়ূন কবিরের পুত্র। তার গ্রামের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ইছাপুরায়। সে কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার মা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিরিন আক্তার।
এদিকে নিহত অন্তুর পিতা হুমায়ূন কবির বুধবার দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানায় লিমন (২৩) নামে একজনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিনই মামলার নামোল্লেখিত একমাত্র আসামি মোগলটুলি এলাকার মীর হোসেন লিটনের পুত্র লিমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সংগঠিত এ হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাদের আটক করা হয়েছিলো। পরে মামলা দায়েরের পর বিকেলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, হত্যার রহস্য উন্মোচন ও জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। এরই মধ্যে হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত সন্দেহে মামলার এজহারনামীয় আসামি লিমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ফারিয়া, সায়মা ও স্নিগ্ধা নামে অন্তু-লিমনের তিন বান্ধবীসহ পরিচিত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও জানান তিনি।
কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে নাজানা যায়, কুমিল্লা শহরের স্থানীয় একটি ব্যান্ড দলের ভোকালিস্ট অন্তু ও তার বন্ধু-সহপাঠীরা প্রতিদিন ধর্মসাগর পাড়স্থ ‘অবকাশে’ গান করতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাতে তাকে গান শোনার কথা বলে সেখানে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসা থেকে বের হয়ে ধর্মসাগর পাড় যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা তার পায়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় তার দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলে পথচারীরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে কুমিল্লা নগরীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র নগর উদ্যান সংলগ্ন ধর্মসাগর পাড়ে এ হত্যাকা-ের ঘটনায় নগরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর রহস্য উন্মোচনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। এরি মধ্যে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) দল ছায়া তদন্ত করতে নেমেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়েই এ হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে। একটি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে দুই বন্ধুর সাথেই তাদের এক বান্ধবীর মন দেয়া-নেয়া চলছিল। এর জের ধরেই অন্তু ও লিমনের মাঝে দূরত্ব ও রেষারেষির সৃষ্টি হতে থাকে। আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের তিন বান্ধবী ফারিয়া, সায়মা ও স্নিগ্ধাসহ বেশ কয়েকজনকে।
বিষয়টির সাথে একমত পোষণ করে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো: মাসুদ বলেন, ‘প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের বিষয়টিকে সামনে রেখেই আমরা ছায়াতদন্ত করেছি।’ তার ধারণা- প্রেমজটিলতা ছাড়াও সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব কিংবা অবকাশে আড্ডা দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা- সংগঠিত হতে পারে।কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার কবির অন্তু হত্যার রহস্য এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলার নামোল্লেখিত একমাত্র আসামি লিমন ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। আর তদন্তের সার্থে এখনই কিছু না বললেও পুলিশ বলছে, অচিরেই আলোচিত এ হত্যার রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকটি অভিযানও চালানো হয়েছে। এছাড়াও হত্যায় জড়িত বেশ কয়েকজনের নামও এসেছে পুলিশের কাছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশের কয়েকটি টীম তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তে সহযোগিতা করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তের সার্থে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি ওসি আবু সালাম।
কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে নালিমন ছাড়া আর কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি উল্লেখ করে ওসি বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আমার গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছি। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না; তবে অচিরেই এ হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে আসবে।
অপরদিকে অন্তুর পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।
জানতে চাইলে কলেজ ছাত্র অন্তুর পিতা কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালের কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার আদরের অন্তুকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, ওসি সাহেব আমাকে আশ্বস্থ করেছেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে, দ্রুতই গ্রেফতার করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তদন্তের সার্থে তাকেও কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন হুমায়ূন কবির। তবে তিনি আশাবাদী, পুলিশ অচিরেই এর রহস্য উন্মোচন করবে।
কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে নাএর আগে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ৮টায় মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নগরীর ধর্মসাগপাড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় কলেজ ছাত্র শাহরিয়ার কবির অন্তুকে। সে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার হুমায়ূন কবিরের পুত্র। তার গ্রামের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ইছাপুরায়। সে কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার মা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শিরিন আক্তার।
এদিকে নিহত অন্তুর পিতা হুমায়ূন কবির বুধবার দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানায় লিমন (২৩) নামে একজনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিনই মামলার নামোল্লেখিত একমাত্র আসামি মোগলটুলি এলাকার মীর হোসেন লিটনের পুত্র লিমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সংগঠিত এ হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাদের আটক করা হয়েছিলো। পরে মামলা দায়েরের পর বিকেলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, হত্যার রহস্য উন্মোচন ও জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। এরই মধ্যে হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত সন্দেহে মামলার এজহারনামীয় আসামি লিমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ফারিয়া, সায়মা ও স্নিগ্ধা নামে অন্তু-লিমনের তিন বান্ধবীসহ পরিচিত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও জানান তিনি।
কুমিল্লায় কলেজ ছাত্র অন্তু হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলছে নাজানা যায়, কুমিল্লা শহরের স্থানীয় একটি ব্যান্ড দলের ভোকালিস্ট অন্তু ও তার বন্ধু-সহপাঠীরা প্রতিদিন ধর্মসাগর পাড়স্থ ‘অবকাশে’ গান করতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাতে তাকে গান শোনার কথা বলে সেখানে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসা থেকে বের হয়ে ধর্মসাগর পাড় যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্বৃত্তরা তার পায়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় তার দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলে পথচারীরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে কুমিল্লা নগরীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র নগর উদ্যান সংলগ্ন ধর্মসাগর পাড়ে এ হত্যাকা-ের ঘটনায় নগরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এর রহস্য উন্মোচনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। এরি মধ্যে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) দল ছায়া তদন্ত করতে নেমেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়েই এ হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে। একটি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে দুই বন্ধুর সাথেই তাদের এক বান্ধবীর মন দেয়া-নেয়া চলছিল। এর জের ধরেই অন্তু ও লিমনের মাঝে দূরত্ব ও রেষারেষির সৃষ্টি হতে থাকে। আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের তিন বান্ধবী ফারিয়া, সায়মা ও স্নিগ্ধাসহ বেশ কয়েকজনকে।
বিষয়টির সাথে একমত পোষণ করে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো: মাসুদ বলেন, ‘প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের বিষয়টিকে সামনে রেখেই আমরা ছায়াতদন্ত করেছি।’ তার ধারণা- প্রেমজটিলতা ছাড়াও সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব কিংবা অবকাশে আড্ডা দেয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা- সংগঠিত হতে পারে।
সূত্রঃ পরিবর্তন