মুরাদনগরে ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক
মো. নাজিম উদ্দিনঃ “টিফিনে বাড়ী যাওয়ার সময় স্যার আমাকে বলেন তোমার নামে বিচার আছে। এ কথা শুনে স্যারের কাছে গেলে আমার চুলে ধরে টানতে টানতে ক্লাস রুমে নিয়ে যায়। রুমে নিয়ে আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে এতে মাথার চুল পরনের শার্ট ছিরে যায়। এর পরেও নাকি স্যারের বিচার শেষ হয়নি তিনি বলেন আজ তোকে এমন শিক্ষা দিবো যে তুই আর কোনদিন স্কুলে আসার নামই নিবি না। আমার মাথা টেবিলের নিচে ঢুকিয়ে বেত দিয়ে পিটাতে থাকেন। আমি কল্পনাও করতে পারি নাই স্যার আমাকে এভাবে মারধর করবে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে ঘটনার বিবরন দেন ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রিমন।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডি আর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনিকক্ষে এঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত ছাত্রের বাবা আব্দুল মালেক।
জানা যায়, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে একই ক্লাসের সাঈদকে রিমন পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়। পরে সাঈদ এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরেফিনের কাছে বিচার দিলে তিনি বুধবার টিফিনের সময় রিমনকে ডেকে নিয়ে বেধরক মারধর করে। এতে রিমন গুরুতর আহত হলে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অভিযোক্ত শিক্ষক আরেফিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক শাহজাহান বলেন, আরেফিন যদি কোন অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন আমি তাই করবো।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে কথা বলবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম বলেন, ঘটনাটি আমার কানে এসেছে, খুবই দুঃখজনক। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।