কুমিল্লা-৯ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দেলোয়ার হোসেন ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এবং বেসিসের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেছেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য। সারাজীবন মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাবো। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমার দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাঁদের পাশে থাকতে। ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ পাক আমাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখে ততদিন আমি সকল সময় মানুষের পাশেই থাকতে চাই।
গতকাল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমেই এসব কথা বলেন তিনি। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর জমা দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও ত্যাগী নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে সু-সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ফারুক।
দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও আমার এলাকা লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষদের চরম দুর্দিন চলছে। সুবিধাভোগীদের দাপটে প্রতৃক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন কোনঠাসা। লাকসাম-মনোহরগঞ্জে আওয়ামী লীগ চালায় জামায়াত-বিএনপি আর রাজাকারের বংশধররা। এরচেয়ে কষ্টের ব্যাপার আর কি হতে পারে? আর বর্তমানে দুই উপজেলায় তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধাভোগীদের হাতে নির্যাতিতও হচ্ছে। এক কথায় বলতে গেলে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে পরিবারভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন দিশেহারা।
দেলোয়ার হোসেন ফারুক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে সেই ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেছি। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য কাজ করছি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কল্যাণে, আওয়ামী লীগের তৃণমূল-ত্যাগী ও অসহায় নেতাকর্মীদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
কুমিল্লা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বঙ্গবন্ধু প্রতীক নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করি সকল দিক বিবেচনা করে দলের নীতিনির্ধারকরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি দল ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কল্যাণে কাজ করবো। এই আসনকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করবো। এজন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন ফারুক লাকসাম উপজেলার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আতাকরা স্কুল এন্ড কলেজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তিনি দেশের প্রতিষ্ঠিত তথ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও আইটি ব্যাবসায়ী। দেলোয়ার হোসেন ফারুক দেশের সফটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের প্রধান সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) চেয়ারম্যান। লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের সম্ভান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা দেলোয়ার হোসেন ফারুক ছাত্রজীবনে লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। বর্তমানে অত্যান্ত সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দেলোয়ার হোসেন ফারুক বাল্যকাল থেকেই মানুষের সুখে সুখী এবং মানুষের দুঃখে ব্যথিত হতেন। তিনি মনে মনে সদা সমাজসেবার চিত্র অংকন করতেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বর্তমানে তিনি রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। এছাড়া তাঁর অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে রয়েছে, রেডিসন বিল্ডার্স এন্ড হাউজিং লি. রেডিসন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, রেডিসন মিডিয়া হাউজ প্রমুখ।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রকৃত সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী। তিনি নিরবে দরিদ্রপীড়িত মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। দারিদ্রতার যাঁতাকলে পিষ্ট অনেক পরিবারের সন্তান তাঁর সহযোগীতায় কলেজে ভর্তি, বই পুস্তক ক্রয়, ফরমফিলাপ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখে শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে পদার্পণ করছে। লাকসাম-মনোহরগঞ্জের অনেক শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। একজন প্রকৃত সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে সকল শ্রেণির মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন দেলোয়ার হোসেন ফারুক।