বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় জমজমাট পশুর হাট
মো.জাকির হোসেনঃ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এবার বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোয় বেচাকেনা জমে উঠেছে। রোববার হাটে আগত ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পশুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, সময়ের ব্যবধানে পশুর খাদ্যসহ লালন-পালনের খরচ বেড়েছে। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তি বলে মনে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণপাড়ার অন্যতম বৃহৎ পশুর হাট উপজেলার সাহেবাবাদ, সিদলাই, ধান্যদৌল বাজার, শশীদল, নয়নপুর, মালাপাড়া, গোপালনগর,দুলালপুর, ষাইটশালা, কান্দঘর, মীরপুর।
বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট, সাহেবের বাজার, লাঠিয়ার বাজার, কোরপাই, বাজার, কংশনগর, বাজার, আবিদপুর বাজার,নানুয়ার বাজার, গোবিন্দপুর, সাদকপুর, কন্ঠনগর, ভরাসার, বাবুর বাজার, ভারেল্লা বাজার, ফকির বাজার, শংকুচাইল বাজার, ছয়গ্রাম, বুড়িচং উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন গরুর হাটে এবার দেশি গরুর যথেষ্ট আমদানি হয়েছে। সাহেবাবাদে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার হাট বসে।
পাশ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলার পূর্নমতি গ্রাম থেকে আসা গরু বিক্রেতা মোনাফ মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, এখন গরুর আমদানি ও কেনাবেচা বেড়েছে। তবে হাটে দেশি গরুর চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি। কারণ সারা বছর ধরে একজন খামারিকে গরু লালন-পালন করতে হয়। বাজারে গো-খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এর উপর কৃষি বিভাগের দেখানো স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের খরচও রয়েছে। সব মিলিয়ে লালন-পালনের খরচ বাড়ায় গরুর দাম এবার কিছুটা বেড়েছে। তবে খরচ বাদে সামান্য লাভ পেলেই গরু ছেড়ে দিচ্ছেন বলে তিনি জানান। এদিকে সাহেবাবাদ গরুর হাট কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা যায়। আর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, হাটে ততই বিক্রেতাদের আগমন বাড়ছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দর কষাকষিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই পশুর হাট।
সাহেবাবাদ পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট সাইজের গরুর দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের গরুর দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজার ও বড় সাইজের গরুর দাম ৯০ থেকে ১ লাখের ওপরে হাঁকানো হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, গত ক’বছর ধরে বিভিন্ন পশুর হাটে ভারতীয় গরু কম আসছে। ক্রেতাদের কাছে দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। শুধু তাই নয় কয়েক বছর ধরে খামারিরা লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই বাড়তি লাভের আশায় বাড়িতে ছোট আকারের খামার তৈরি করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারগুলোতে গরু পালনের খরচ বেড়েছে। তাই দেশি গরুর দাম এবার অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। হাটের ইজারাদার বলেন, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া রয়েছে। মাইকের মাধ্যমে সবসময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের লেনদেন করতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জাল নোট শনাক্ত করার জন্য মেশিন রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে পশুর হাট জমে উঠছে।