চার নবজাতক নিয়ে বিপাকে কুমিল্লা সেই গৃহবধূ শাকিলা
বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ একসঙ্গে জন্ম নেয়া চার নবজাতক শিশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী জালাল উদ্দিনের স্ত্রী শাকিলা আক্তার। শাকিলার ওই চার শিশু বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনআইসিইউতে রয়েছে। গত সোমবার বেসরকারি ওই হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নীলুফার শামীম আফজার নেতৃত্বে চিকিৎসক টিম সিজারিয়ানের মাধ্যমে চার শিশু ভূমিষ্ঠ করান। এরপর থেকে এনআইসিইউ, ঔষধ ও প্রসূতির চিকিৎসা খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তার পরিবার। চার শিশু ও তাদের মায়ের চিকিৎসায় পরিবারটি এখন বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।
ওই গৃহবধূর ভাসুর নিজাম উদ্দিন জানান, তার ভাই জালাল উদ্দিনের স্ত্রী শাকিলা আক্তার (২২) স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণ করতে না পারায় গাইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ওভুলেশন ইনডাকশনের মাধ্যমে গর্ভধারণ করেন। গত ১৫ দিন আগে শাকিলা উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে শাকিলা আগে থেকেই জানতেন তার গর্ভে চারটি সন্তান রয়েছে। গত সোমবার সকালে ডাক্তারদের পরামর্শে তিনি সিদ্ধান্ত নেন অস্ত্রোপচারের। নবজাতকদের মধ্যে একজন ছেলে ও তিনজন মেয়ে। ছেলে শিশুর ওজন ১ কেজি ৮শ’ গ্রাম, মেয়েদের একটির ওজন ১ কেজি ৬শ’ গ্রাম ও অন্য দুটির ওজন ১ কেজি ৪শ’ গ্রাম করে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অধ্যাপক নীলুফার শামীম জানান, চার নবজাতক ও তাদের মা সুস্থ আছেন। তবে প্রি-ম্যাচিউর হওয়ায় মায়ের বুকের দুধ টেনে খেতে না পারায় তাদের নিওনেটাল আইসিইউতে রাখা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে শিশুদের মায়ের কাছে দেয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে নবজাতকদের প্রবাসী বাবা জালাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে তার স্ত্রী ও ৪ শিশু সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
শাকিলার স্বামীর বড় বোন নাসিমা আক্তার বলেন, তার ভাই দুবাই প্রবাসী হলেও সেখানে তিনি আর্থিক সংকটে আছেন এবং পরিবারটি অস্বচ্ছ্বল। তিনি দেশে আসতে পারছেন না। এ অবস্থায় ওই হাসপাতালে থাকা চার শিশুর এনআইসিইউ, ঔষধ, প্রসূতির চিকিৎসা ও বেড ভাড়াসহ প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ হচ্ছে। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে চিকিৎসা খরচ চালিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।