বুড়িচংয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে বৃদ্ধ মহিলাকে হত্যা
মো.জাকির হোসেনঃ কুমিল্লায় হাত-পায়ের রগ কেটে নুরজাহান বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধ মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার জেলার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর মধ্যপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমি থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। সে ওই গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী। হত্যাকান্ডের পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে নিহতের ছোট ছেলে অলি ডাকাত।
পুুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরজাহানের স্বামী মৃত্যুর আগে তার নামে কিছু জমি দিয়ে যান। তার ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে। ৪ ছেলে আবদুল হক, কাইয়ুম, অলি ডাকাত ও সাহরীয়ার হোসেন লিটনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। ৪ ভাই বিয়ে করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা আলাদা সংসার করেছে। অপর দিকে তাদের মা নুরজাহান একাকি বসবাস করত। তবে মেয়েরাই মায়ের খোঁজ-খবর নিত। স্বামীর দেয়া জমি নিজের নামে নিতে ছেলে অলি ডাকাত (পুলিশের তালিকাভুক্ত ডাকাত) প্রায়ই মাকে মারধর করতো। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশও হয়। শুক্রবার বিকালে এ নিয়ে বাড়িতে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের জমিতে হাত-পায়ের রগ কাটা এবং মুখ, কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা অবস্থায় পাওয়া যায় বৃদ্ধা নুর জাহানের মরদেহ।
নিহতের মেয়ে পারভীন বেগম জানান, ১০/১২ দিন আগে আমার মা তার বাড়িতে বেড়াতে আসে, ওই রাতে মায়ের ঘরের মালামাল ও নগদ টাকা কেউ নিয়ে যায়। ওই রাতেই হয়তো মাকে পেলে হত্যা করা হতো। তাছাড়া মায়ের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের সাথে বিরোধ চলছিল। এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহতের ছেলে অলি ডাকাত।
বিকালে বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জমি নিয়ে নিহতের ছেলেদের সাথে পারিবারিক বিরোধ ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে, তবে এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।