তিতাসে বিএনপি’র ৫ কর্মী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের তিতাস উপজেলায় নির্বাচনের দিন যতই গনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের প্রাচার প্রচারণা ততই বারছে। আর আকস্মিক গ্রেফতারে আত্মগোপনে যেতে শুরু করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীরা। এরই মধ্যে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
আজ (২১ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার কৃতরা হলো উপজেলার কড়িকান্দি গ্রামের পাশান মোল্লা (৪০), গোপালপুর গ্রামের মনিরুল হক (৩৮), কলাকান্দি গ্রামের বাদশা মোল্লা (২৮), মাছিমপুর গ্রামের জুয়েল(২৮) ও পারভেজ (২৫)। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিমা আহমাদ মেরী (সিআইপি)।
নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে দিন রাত পরিশ্রম করে নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় অন্ত কোন্দল মিঠিয়ে তিতাস উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে গণসংযোগ কর্মসূচির রুটিন করেছেন। ইতি মধ্যে তিনি ৭ টি ইউনিয়নে গণসংযোগ কর্মসূচি ও পথসভা করেছেন এবং ওই সকল ইউনিয়ন গুলিতে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এতে করে নৌকার ভোট যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি ভোটারদের মাঝেও উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
অপর দিকে এ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি প্রতীক পাওয়ার পর তিতাস উপজেলাস্থ তাহার নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা করে তিতাস উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৩টি জনসভা ও গণসংযোগের কর্মসূচি করেন।
ইতি মধ্যে তিনি মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি জনসভা করেছেন এবং ৩টি ইউনিয়নে গণসংযোগ করলেও হঠাৎ করে আজ (২১ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকালে পুলিশের আকস্মিক অভিযানে বিএনপির ৫জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হওয়ায় সিনিয়র নেতারা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে গেছে। শনিবার(২২ ডিসেম্বর) সাতানী ইউনিয়ন, জগতপুর ইউনিয়ন ও বলরামপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ ও ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দাসকান্দিতে জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। আর এসময় গণসংযোগে ড.মোশাররফ হোসেন উপস্থিত থেকে বিভিন্ন যায়গায় পথ সভায় বক্তব্য রাখারও কথা রয়েছে।
এবিষয়ে তিতাস উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলো হোসেন মোল্লা বলেন তিতাস-হোমনায় বিএনপির গণজোয়ার দেখে আওয়ামীলীগ বেদিশা হয়ে পরেছে তাই আজ তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আতঙ্গ সৃস্টি করতেছে এবং শনিবার (২২ ডিসেম্বর) আমাদের ৩ টি ইউনিয়নে গণসংযোগ, পথসভা ও একটি জনসভা হওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ঘোষনা করা আছে।
যাতে আমরা আমাদের নির্বাচনী কর্মসূচি পালন করতে না পারি তাই পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রানি করতেছে। গ্রেফতারের বিষয়ে ওসি আহসানুল ইসলাম বলেন এটা আমাদের রুটিন ওয়ার্ক এবং শান্তি পূর্ণ নির্বাচনের লক্ষে এই অভিযান। তবে কি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি বলেন পরে সব জানতে পারবেন।