কুমিল্লা-২ আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর গাড়ি বহরে ককটেল বিস্ফোরণ
মোঃ জুয়েল রানাঃ কুমিল্লা-২ (তিতাস-হোমনা) আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরী’র গণসংযোগের গাড়ি বহরে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিতাস উপজেলার দড়িকান্দিতে পথসভায় যাওয়ার সময় দড়িকান্দি ব্রিজের উত্তর পাশে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সেলিমা আহমাদ মেরী নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে স্থানীয় তিতাস প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি সুষ্ঠ ধারার রাজনীতি ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমার এবং জননেত্রী শেখ হাসিানর নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার দেখে ঈশার্ন্বিত হয়েই আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সরিয়ে দিতে ও হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে আমার প্রতিপক্ষ দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজকের ঘটনায় প্রমাণিত হলো আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বোমাবাজ, আগুন সন্ত্রাসীর রাজনীতি চর্চা করেন। আমার নির্বাচনী প্রচারণার পূর্বের নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচীর জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি পথসভাস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার উত্তরে আমার গাড়ি বহরের পেছন থেকে ক্রস করে এসে ৩টি মোটর সাইকেল ও একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত গতিতে দক্ষিণ দিকে চলে যায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, যত হামলা ও পরিকল্পনাই করা হোকনা কেন এই বিজয়ের মাসে ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের বিজয় নিশ্চত ইনশাআল্লাহ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ তাদের নিজস্ব প্যাডে লিখিত ভাবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে অবহিত করবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে আইনগত ভাবেই ব্যবস্থা নিবো।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস উপলো আওয়ামীলীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসীন ভূঁইয়া, সহসভাপতি মুন্সি মজিবুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার হোসেন বাবু ও তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহব্বায় সাইফুল আলম মুরাদসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এই বিষয়ে তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতরাতে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে এবং অন্যান্য নেতাকর্মীরা পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে এলাকাছাড়া। এই অবস্থায় কে বা কারা আওয়ামীলীগ প্রার্থীর গাড়ি বহরে এই হামলা করেছে তা আমার জানা নেই এবং আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও প্রকৃত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানাই এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী কর্মসূচী স্থগিত রেখেছি।