কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কে ফোর লেনের কাজ শুরু
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে এই সড়কের যানজট নিরসন হবে। যোগাযোগে নতুন গতি আসবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এই সড়কটি ফোর লেন হলে যোগাযোগে সুবিধা পাবে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ সারা দেশের মানুষ।
এই ফোর লেন প্রকল্পের লাকসাম থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের পাশে খাল রয়েছে। খালের পাশে সড়ক বাড়াতে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ এলাকায় খালের নরম মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার তথ্যমতে, কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার ফোর লেন উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া কাজ ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে সাড়ে ১১০০ কোটি টাকা। পাঁচটি প্যাকেজে কাজ হচ্ছে। কুমিল্লা অংশে চারটি প্যাকেজ ও নোয়াখালী অংশে একটি প্যাকেজ। লাকসামে একটি ছোট প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে। কুমিল্লার দুটি প্যাকেজের কাজ চলছে। অন্যটির কাজ ভূমি অধিগ্রহণ শেষে শুরু হবে।
এদিকে নোয়াখালী অংশের কাজ পুনঃদরপত্র হয়েছে। কুমিল্লা অংশে যৌথভাবে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং। লাকসাম অংশে যৌথভাবে কাজ করছে তাহের ব্রাদার্স, রানা বিল্ডার্স ও হাছান বিল্ডার্স। সরেজমিন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলায় গিয়ে জানা যায়, খালের পাশে সড়কের পাশ বাড়াতে খালের ভিতর থেকে ও পার কেটে মাটি ভরাট করা হয়। এতে সড়কের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। সড়ক ধসে যেতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে হাছান বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হাছান পাখির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সড়কের বাড়তি অংশে নরম মাটি ফেলার অভিযোগ ঠিক নয়। বালু ও খোয়া সংরক্ষিত করতে পাশে নরম মাটি দিয়ে প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, স্তরে স্তরে বালু ও খোয়া ফেলে সড়কের পাশ বর্ধিত করতে হবে। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। তাই আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে কাজের মান তদারকি করি। এখানে কাজের মানে অনিয়ম করার সুযোগ নেই।
তথ্যসূত্রঃ বিডি প্রতিদিন