নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রামে বাশেঁর সাঁকোতে ঝুুঁকি নিয়ে চলাচল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম দুই উপজেলার বুক চিরে আকাঁ বাকাঁ ভাবে ডাকাতিয়া নদী। যা নাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে অবস্থিত। দুই উপজেলার অবহেলিত জনপদ এটি। এই জনপদের মানুষ নাগরিক সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শুধু ভোট এলে দেখা যায় জনপ্রতিনিধিদের।
নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউপির ননুয়াকান্দি গ্রাম ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউপির খাইয়াজলা গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতু না থাকায় দু’উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী এ নদীর উপর নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড় হয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে নাঙ্গলকোট উপজেলার স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। নদীর ওপাড়ে চৌদ্দগ্রাম অংশে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে।পাশাপাশি দু’উপজেলার ১৫ গ্রামের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র নড়বড়ে বাশেঁর সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিকার হতে হয়। এ দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে এলাকাবাসির উদ্যোগে নদীর ওপর ১৪ টি পিলার দিয়ে করে প্রায় ১ হাজার ফুট দৈর্ঘ একটি বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ করে। বর্ষার মৌসুমে ভাঙ্গা চুরা সড়কে পানি ওঠে ডাকাতিয়া নদীতে প্রবল¯্রােতে প্রায় সময় বাঁেেশর সাঁকো ভেঙ্গে যায়। তখন নৌকায় একমাত্র ভরসা এলাকাবাসির চলাচল। স্থানীয়, ননুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল মতিন (৬৫) সফিকুর রহমান (৪৫) খাইয়াজলা গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তারসহ এলাকাবাসির দাবি দ্রুত এখানে একটি ব্রিজ নির্মান করা হোক।
এ বিষয় গতকাল শনিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ সহিদুল ইসলাম জানান, বিষয় খবর নিয়ে দেখবো। নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন বলেন, স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।