জনবল সংকটে কুমিল্লা কারাগার
ডেস্ক রিপোর্টঃ জনবল সংকটে পড়েছে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কারাবন্দিরা। এছাড়া জনবল সংকটে খালি থাকা বিভাগ ও পদগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারসহ পাঁচশ’ ৩৭টি পদ রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে এই পাঁচশ’ ৩৭ পদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১১৬টি পদ খালি পড়ে আছে। তারমধ্যে ৮১টি পদই কারারক্ষীর। এছাড়া শূণ্য আছে সহকারী সার্জন নারী পদে একজন, ডেপুটি জেল সুপার পদে একজন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট পদে একজন, ডিপ্লোমা নার্স পদে একজন, ডিপ্লোমা নারী নার্স পদে একজন, ফার্মাসিস্ট পদে একজন, ল্যাবরেটরি টেকনিসিয়ান পদে একজন, প্যাথলজিস্ট পদে একজন, চিপ মেট্রোন পদে একজন, প্রধান কারারক্ষী পদে সাত জন, হিসাব রক্ষক পদে একজন, কারা সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে দুইজন, সহকারী প্রধান কারারক্ষী পদে চারজন, সরকারি মেট্রন পদে দুইজন, নারী কারারক্ষী পদে দুইজন, টেইলার মাস্টার পদে একজন, ব্লাক স্মিথ পদে একজন, বাবুর্চি পদে একজন, সহকারী পদে একজন, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে একজনসহ মোট ১১৬ জন।
কারাগার সূত্র জানায়, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দির ধারণ ক্ষমতা এক হাজার ৭৪২ জন। বছরের বেশির ভাগ সময় কারাগারটিতে এই ধারণ ক্ষমতা বাইরে দুই গুণের বেশি কারাবন্দি থাকে। জনবল সংকট নিয়ে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ কারাগার বন্দিদের নিয়ন্ত্রণে কারাকর্তৃ পক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আগে এবং পরে এই কারাগারে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কারাবন্দি ছিল। বর্তমানে দুই হাজারের মতো কারাবন্দি রয়েছেন। একদিকে দীর্ঘদিনের জনবল সঙ্কট অন্যদিকে কারাগারে ধারণ ক্ষমতার বেশি কারাবন্দি থাকায় সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
জনবল সংকট নিয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম বলেন, ‘কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জনবল সংকটের বিষয়টা বিশাল সমস্যা। সংকট সমাধানে আমরা আবেদন করেছি। আশাকরি খুব শিগগিরই এ সমস্যা দূর হবে।’
সূত্রঃ বাংলাট্রিবিউন