কুমিল্লা সবার আগে শেষ চারে
ডেস্ক রিপোর্টঃ চলতি বিপিএলে ঢাকা ও সিলেট পর্ব মিলিয়ে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে ছিল চিটাগং ভাইকিংস। কিন্তু ঘরের মাঠেই উল্টো পথে যাত্রা শুরু করল মুশফিকুর রহিমের ভাইকিংস। চট্টগ্রাম পর্বে হ্যাটট্রিক হারে টেবিলের তিন নম্বরে নেমে এসেছে দলটি। গতকাল স্বাগতিকদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ জয়ে কুমিল্লার পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়ায় ১৪-তে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে রংপুর রাইডার্স হারালে তাদের পয়েন্টও হয় ১৪। পঞ্চম স্থানে থাকা রাজশাহীর পক্ষে এখন আর কোনো অবস্থাতেই রংপুর ও কুমিল্লাকে ছোঁয়া সম্ভব নয়, যে কারণে শেষ চারে চলে গেল এ দুই দল।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি ভাইকিংস। ম্যাচ শুরুর মাত্র এক ওভার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ৩০ মিনিট। আর এতে ১৯ ওভারে পুনর্নির্ধারিত হয় ম্যাচটি। কুমিল্লার বোলারদের সামনে শুরু থেকেই পথ হারানো চিটাগং শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান। ২৫ বলের ইনিংসে ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে মোসাদ্দেক হোসেনই যা একটু দৃঢ়তা দেখান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন মোহাম্মদ শাহজাদ। ৩৫ বলে ৩৩ রান করেন এ ওপেনার। কুমিল্লা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন পাকিস্তানি তারকা শহীদ আফ্রিদি। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় ২ উইকেট নেন এ লেগ স্পিনার।
জয়ের জন্য ১১৭ রানের সহজ টার্গেটকে আরো সহজ করে দেন কুমিল্লা ওপেনার তামিম ইকবাল। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ৫১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁ হাতি ওপেনার। এটি এবারের আসরে তামিমের দ্বিতীয় ফিফটি। ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে অধিনায়ককে সুযোগ্য সঙ্গ দেন শামসুর রহমান। তাকে ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ রাহি। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের ঘ্রাণ পেতে শুরু করেছে কুমিল্লা। পরের ওভারেই ইমরুল কায়েসকে (৮) শিকারে পরিণত করেন আবু জায়েদ। থিসারা পেরেরাকে (৭ বলে ১০*) সঙ্গী নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন তামিম। ২১ বল হাতে রেখেই জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ১০ ম্যাচে দলটির এটি সপ্তম জয়। অনবদ্য বোলিং নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পান আফ্রিদি।
আরেক ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী কিংস। দুই ওপেনার মিলে দলকে এনে দেন ১৮ রান। ১১ বলে ১২ রান করে জনসন চার্লস ফিরে যান ফরহাদ রেজার বলে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ক্যাচ দিয়ে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি মুমিনুল হক (৪)। ৬২ রানের মাথায় সৌম্য সরকারকে হারালে বিপদ বাড়ে রাজশাহীর। বেশি দূর যেতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ফিরেছেন ৬ রান করে। লড়াই চালিয়ে যাওয়া লরি ইভান্সও ফেরেন এরপর। ৩১ বলে ৩৫ রান করা ইভান্স আউট হন শহিদুলের বলে। পরে ৮ উইকেটে ১৪১ রানে থেমে যায় রাজশাহী। বল হাতে রংপুরের হয়ে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ ছন্দে থাকা রাইলি রুশোর ৫৫ ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৩৭ রানে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর।