কুমিল্লার হয়ে ট্রফিটা তুলে ধরতে চান ইমরুল
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার হয়ে ২০১৫ সালে বিপিএলের শিরোপা জিতেছিলেন ইমরুল কায়েস। অধিনায়ক হিসেবে আগে কখনই শিরোপা ছোঁয়া হয়নি এই বাঁ-হাতি ওপেনারের। দারুণ এক মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে ইমরুল। শিরোপা স্বপ্নে বিভোর।
প্রথম কোয়ালিফাইং পর্বে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা। ফাইনালের আগে তারা বিশ্রাম পেয়েছে। বুধবার রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটা ঢাকা কাল অনুশীলন করেনি। বিশ্রামে কাটিয়েছে তারা।
মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে ইমরুল বলেন, ‘এখানে না বলে পরিকল্পনা নিজেদের মধ্যে রাখাই ঠিক হবে। শুধু আমি নয়, আমাদের সবাই রোমাঞ্চিত ফাইনাল নিয়ে। প্রত্যেক খেলোয়াড় চায় ফাইনালে খেলতে। চ্যাম্পিয়ন হতে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি আমি একবার পেয়েছি।’
ফাইনালে স্নায়ু ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ইমরুল বলেন, ‘স্নায়ু ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলতে পারবে তাদেরই সুযোগটা বেশি থাকবে। উত্তেজিত হলে সাফল্যের সম্ভাবনা কমে আসে। মাঠে সব কিছু ঠিকঠাক করতে পারলে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে ফাইনাল পর্যন্ত আমরা ভালো খেলেছি। প্রত্যেক ক্রিকেটার মন থেকে চেয়েছে ফাইনাল খেলতে। আসলে ফাইনাল খেলা ভাগ্যের ব্যাপার। আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করব নিজেদের সেরাটা খেলার। আর সেটা খেলতে পারলে ইনশাআল্লাহ ফলাফল আসবে।’
ফাইনালে ইমরুলের আশা স্পোর্টিং উইকেট। তিনি চান ফাইনাল যেন সবাই উপভোগ করতে পারেন। ঢাকার চেয়ে কুমিল্লা কোনদিক থেকে এগিয়ে জানতে চাইলে ইমরুল বলেন, ‘আমরা দুটি ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে জিতেছি। আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে ভালো অবস্থানে আছি। একটি দলকে দু’বার যখন হারাবেন তখন প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের নিয়ে চিন্তা করবে তারা। এটাই আমাদের জন্য ইতিবাচক।’
এদিকে চলতি বিপিএলে ব্যাটসম্যানরা যেমনই হোক, বল হাতে ঠিকই ছড়ি ঘোড়াচ্ছেন ও ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররাই। যে কারণে ফাইনাল ম্যাচের আগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকার শীর্ষ পাঁচজনই স্থানীয় বোলার।
সবচেয়ে বেশি ২২টি করে উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ এবং মাশরাফি মুর্তজা। একটি কম উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। ১৮ উইকেট নিয়ে পাঁচ নম্বরে রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ডান-হাতি পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড ২২টিই। এর আগে ২০১৫ সালের আসরে কেভিন কুপার এবং ২০১৭ সালের আসরে সাকিব আল হাসানও নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়ার খুব কাছ থেকেই ফিরতে হয়েছে মাশরাফি ও তাসকিনকে।
সুযোগটা এখনও রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটসের দুই বোলার সাকিব এবং রুবেলের সামনে।
সাকিব একটি ও রুবেল দুটি উইকেট পেলেই গড়ে ফেলবেন রেকর্ড। শুধু তাই নয়, এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তকমাটাও মিলবে এতে।
যে কারণে একই দলের দুই খেলোয়াড় তথা ঢাকার অধিনায়ক সাকিব এবং ডান-হাতি পেসার রুবেলে মধ্যে চলবে অলিখিত এক লড়াই। যেখানে অধিনায়ক সাকিবকে পেছনে ফেলতে চাইবেন পেসার রুবেল। আবার নিজের শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইবেন অধিনায়ক সাকিবও। এ লড়াইয়ে যেই জিতুক না কেন শেষে গিয়ে লাভবান হবে ঢাকাই।
সাকিব-রুবেলের মতো ২১-২২ উইকেট না হলেও তাদের জন্য ঠিকই চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছেন ঢাকার আরেক বোলার সুনীল নারাইন এবং কুমিল্লার পেসার সাইফউদ্দিন। দু’জনেরই উইকেটসংখ্যা ১৮।
ফাইনাল ম্যাচে অসাধারণ বোলিং করে তাদের কেউ একজন যদি পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করতে পারেন, তাহলে সাকিব-রুবেলকে টপকে নারাইন বা সাইফউদ্দিনও হয়ে যেতে পারেন এবারের আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।