কুমিল্লায় ছাত্রলীগ সভাপতির নেতৃত্বে নববধূকে তুলে নিতে গিয়ে আটক ৭
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে সাত বখাটেকে আটকের পর পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় অন্তত ২৫ জন।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৌ-ভাতে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন কুমিল্লার নিমসার কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল ও সহযোগী সাকিব। তাদের নেতৃত্বেই ২৫-৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেবিদ্বারে ওই বৌ-ভাত অনুষ্ঠান হামলা করে।
আটকরা হলেন- কোতয়ালী থানার জাগরতলি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আলী হোসেন (২১), বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের মরণ পালের ছেলে সজিব পাল (১৯), চান্দিনা উপজেলার এদবারপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বাছির আহমেদ (২২), চান্দিনা উপজেলার মহরম গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২২), বুড়িচং উপজেলার নামতলা গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাফর (২০), চান্দিনা উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আব্দুল আউয়ার’র ছেলে মেহেদী হাসান (২১) এবং দেবিদ্বার উপজেলার সূরপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আলম (২২) ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (১৯) সাথে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের (২৫) বিয়ে হয়। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বরের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে কণের কলেজের সহপাঠী ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটার দিকে ২৫-৩০ জনের একদল বখাটে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানের লোকজনদের মারধর করে কণেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়।
এসময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয় এলাকার লোকজন ওই বখাটেদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিয়ে ঘরের একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল ও সাকিব সাংগঠনিক মিটিংয়ের কথা বলে ৭টি মাইক্রোবাস যোগে তাদেরকে নূরীতলা এলাকায় নিয়ে যান। পরে বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসীরা তাদেরকে ঘেরাও করে ফেললে ইসমাইল ও সাকিব পালিয়ে যান।
ইসমাইলের পরিচয় নিশ্চিত হতে পুলিশ নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। তিনি ইসমাইলকে তার কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি বলে নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা আরও জানায়, কণে ফাতেমা আক্তার(১৮) নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রী কলেজ’র উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ইসমাইলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন