কুমিল্লা কোটবাড়িতে অপহরণের পর স্কুল ছাত্রকে হত্যা
সদর দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি এলাকায় বালুর স্তুপের নীচ থেকে সোমবার বিকেলে পুলিশ তৌহিদ (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে রোববার রাতে অপহরণকারীরা কৌশলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছিল। সোমবার সকালে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় পুলিশ দু’অপহরণকারীকে আটকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বিকেলে লাশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়,কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের সালমানপুর এলাকার বাসিন্দা আবু মুসা’র পুত্র তৌহিদুল ইসলামকে ১৭ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ১০ টায় কৌশলে অপহরণকারীরা বাসা থেকে বের করে নেয়। এরপর রাত আনুমানিক ১ টায় অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে তৌহিদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে রাতভর তৌহিদের পরিবারের লোকজন বিভিন্নস্থানে খোজাখুঁজি করেও তার সন্ধান লাভে ব্যর্থ হয়।
সোমবার সকালে অপহরণকারীরা আবারো নিহতের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোন করে। এ সময় পরিবারের লোকজন টাকা দেওয়ার কথা বললে অপহরণকারীরা নগরীর মনোহরপুর এলাকায় সাত্তার খান কমপ্লেক্স নামের একটি বিলাসবহুল মার্কেটে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি ফাঁড়ির আইসি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই মার্কেটে ওত পেতে থাকে। বেলা ১০ টায় টাকা নেওয়ার সময় পুলিশ সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার মবিন নামের একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর এলাকার মাজহার নামের আরো একজনকে আটকে তৌহিদের সন্ধানে চাপ প্রয়োগ করলে বিকেলে আটক দু’জন তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তী দেয়। পরে বিকেল ৫ টায় কোটবাড়ি সিটি কলেজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিছনের বালুর স্তুপের নীচ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
তৌহিদ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কোটবাড়ি এলাকার টিটিসি নামের একটি কারিগরী স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। এব্যাপারে নিহতের বড় ভাই জাহিদ বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করেছে। সদর দক্ষিণ থানার কোটবাড়ি চাঙ্গীনি ফাঁড়ির আইসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।