কুমিল্লায় নিষিদ্ধ ট্রাক্টরে পিষ্ট হলেন সাহেরা, লক্ষাধীক টাকায় ট্রাক্টর মালিকের রফাদফা

ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের পাইপলাইন খ্যাত জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের চাপায় প্রান হারালো সাহেরা বেগম (৫৫) নামের এক মহিলা। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার রাতে মহাসড়কের কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরাবাজার এলাকায় কুমিল্লাগামী অংশে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরা বাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় মহাসড়কের কুমিল্লাগামী অংশে স্থানীয় লাকি ট্রেডার্সের একটি ট্রাক্টর পেছনে ঘোরানোর সময় সাহেরা বেগম নামের এক মহিলাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ওই নারী। নিহত হওয়ার খবরে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই এলাকায় ট্রাক্টরের মালিকের রড সিমেন্টের দোকান লাকি ট্রেডার্স হামলা চালায়। পরে পুলি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র আরো জানায়, এসময় স্থানীয়দের সাথে ট্রাক্টর মালিক ফজলুল হক লাকি দফায় দফায় সমঝোতার চেষ্টা করে। পরে ওই রাতেই লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে মামলা না করার জন্য নিহতের পরিবারের সাথে সমঝোতা করে ট্রাক্টরের মালিক।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ময়নামতি হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মহিউদ্দিন জানান, নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রহণের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, লাকি ট্রেডার্সের ট্রাক্টরের কারনে এলাকায় চলাফেরায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। এসব ট্রাক্টরের কারনে এ এলাকায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। ট্রাক্টর চলাচল করার কারনে দুলাবালিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি। লাকি ট্রেডার্সের মালিক ফজলুল হক লাকি প্রভাবশালি হওয়া তার বিরুদ্ধে এলাকার কোন নিরিহ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।

এলাকাবাসি আরও জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাজিরাবাজার, আমতলি, আলেখারচর এলাকায় নিষিদ্ধ ট্রাক্টরের অবাধে চলাচল থাকলেও অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না হাইওয়ে পুলিশ। এসব ট্রাক্টরের কারনে মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। মহাসড়কে দ্রুত এসব ট্রাক্টর নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন সাধারন মানুষ।

আরো পড়ুন