কুমিল্লা নগরীর ৯০ শতাংশ ভবন নকশাবহির্ভূত
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা মহানগরীর ৯০ শতাংশ ভবন নকশাবহির্ভূত। এসব ভবন চিহ্নিত করাসহ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে অভিযান শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) কর্তৃপক্ষ। অবৈধ ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। অভিযানের প্রথম দিনে ৯টি ভবনের চলমান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা যায়, দেশের প্রাচীনতম শহর কুমিল্লা জেলা। ২০১১ সালে পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর নগরজুড়ে বহুতল ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায়। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর টনক নড়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের। এর পরই বৃহস্পতিবার দুপুরে নকশা বহির্ভূত ও নকশাবিহীন অবৈধ ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে নগরীর ঠাকুরপাড়া, নজরুল এভিনিউ, দক্ষিণ চর্থা এলাকায় সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় নগরীর নজরুল এভিনিউ সড়কের ট্রমা সেন্টার, গোল্ড সিলভারসহ নির্মাণাধীন ৯টি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং নকশা বহির্ভূত ভবন মালিকদের ১৫দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায়। অভিযানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নকশাবহির্ভূত ভবনগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। যে সব ভবনের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে, তাদেরকে ১৫দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। কেউ যদি অমান্য করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সূত্রঃ জাগোনিউজ