সদর দক্ষিণের কৃষ্ণনগর গ্রামের ডাকাতি মামলার প্রধান আসামী মতিন গ্রেফতার

সদর দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের আবুল কালামের ৪ বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষনের পর হত্যা মামলার জের ধরে ডাকাতি কায়দায় বাদির ঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা,স্বর্ণলংকার লুটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ। আসামী মতিন গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসির মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের আবুল কালামের ৪ বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষনের পর হত্যা মামলা তুলে নিতে গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী আব্দুল মতিনসহ বিবাদী পক্ষের লোকজন রাতের অন্ধকারে ডাকাতি কায়দায় বাদির ঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা,স্বর্ণলংকার লুটপাট করে। এ ঘটনায় আবুল কালাম বাদি হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
৮ এপ্রিল সোমবার রাত নয়টায় সদর দক্ষিণ মডেল থানার এস.আই ইরফানুল হক রাজিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করে। আসামী মতিন গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসির মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মামলার অন্যান্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় ভুক্তভোগি পরিবারসহ স্থানীয়রা ।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, আসামী মতিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য: গত বছর ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণ নগর গ্রামের কালামের চার বছর বয়সী নাবিলা নামে মেয়েটি হারানো যায় একদিন পর ১৮ ডিসেম্বর ভোরে তার বাড়ীর আঙ্গিনায় নাবিলার নিথর মহদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন কে বা কাহারা নাবিলার মৃত্যুর সাথে জড়িত তাৎক্ষনিক জানা যায়নি । ঘটনার স্থলে সদর দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে তদন্ত করে অজ্ঞাত নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে কিছুদিন পর মামলাটি থানা থেকে কুমিল্লা ডিবিকে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে কুমিল্লা ডিবি প্রশাসন মামলাটি নিয়ে মামলা রহস্য উদঘাটন করতে শুরু করে এরেই সূত্র ধরে কালামের পাশের বাড়ীর ডাঃ আলী আশ্রাফের ছোট ছেলে মেহরাজ হোসেন তুষারকে ডিবি পুলিশ আটক করে এবং জিঙ্গাসাবাদ করলে তুষার চার বছরের নাবিলাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা নিজেই ডিবি পুলিশের কাছে শিকার করে।