কুমিল্লায় দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নগরীর প্রান কেন্দ্র টাউনহল সংলগ্ন সামনের রাস্তা অন্য সকল দিনের চয়ে এক্কেবারে ফাঁকা অনুভব হয়েছে। প্রচণ্ড রোদের কারণে কান্দিরপাড় এলাকার আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল নেই বললেই চলে । ভ্রাম্যমান মানুষের পদচারণায় সদামুখরিত কুমিল্লার পার্ক গুলোতে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শ্রমিক শ্রেণির লোকজন গাছের ছায়ায় বসে আছেন। এক ভ্যানচালককে ঘর্মাক্ত দেহে গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়। ক্লান্ত দেহে বেশ কয়েকজন রিকশাচালককে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।
এ দৃশ্যপট আজ দুপুর ১২টার। নগরীর একদিকে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও শপিং মল, বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের বিপরীত দৃশ্যে দেখা যায়। সারাদেশে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে বিভিন্ন বয়সী লাখ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশুরা ঘরে-বাইরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন এত গরম কেন? গরম কমবে কখন, বৃষ্টি নামবে কি?
আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, আজ (রোববার) থেকে তাপমাত্রা কমবে। আগামীকাল নাগাদ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে। আজ দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা যত গড়াবে তাপমাত্রা তত বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
বেলা ১টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টা নগরীর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ।
এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আজ সরেজমিন নগীরর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছু কিছু রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম। প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। অনেকেই ছাতা মাথায় বের হলেও তবুও গরমে ঘামছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। দিন আনে দিন খায় এ মানুষগুলো গরমের মধ্যেও হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছেন। ট্রাফিক পুলিশকে রোদে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠতে দেখা যায়। এছাড়া কোথাও কোথাও ট্রাফিক পুলিশকে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।