কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ মাননীয় সড়ক ও সেঁতু মন্ত্রী, বিশ্বের কোথায়ও মহাসড়কে এভাবে লাল পতাকা দিয়ে ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতির গাড়ি থামিয়ে শিক্ষার্থী পারাপারের নজির আছে কিনা আমার জানা নাই। তবে শিক্ষার্থীদের মুল্যবান জীবন বাঁচাতে নিরুপায় হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে এ ব্যবস্থা করেছে। এতে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার দাবীদার। কিন্তু এভাবে কতদিন?
একটি ফুটওভার ব্রীজের অভাবে প্রতিদিন চৌদ্দগ্রাম বালিকা বিদ্যালয় ও চৌদ্দগ্রাম হাই স্কুলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে বা মহাসড়ক পার হচ্ছে। বিশেষ করে চৌদ্দগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় ২২ শত শিক্ষার্থী বেশী সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ পূর্ব পাশের নতুন রাস্তায় চট্টগ্রামমুখী গাড়ি বেশী দ্রুত চলে। তাছাড়া নতুন রাস্তায় বিন্দু পরিমাণ ফুটপাতও নাই। গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের মত একই সমস্যা চৌদ্দগ্রাম সরকারি হাসপাতালে যাতায়াতকারী রোগী ও দর্শনার্থীদের। এরই মধ্যে গার্লস স্কুল ও হাসপাতালের সামনের মহাসড়কে অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটে অনেকেই নিহত ও আহত হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ফলাওভাবে নিউজ হয়েছে। কিন্তু সওজ কর্তৃপক্ষ ইহার গুরুত্ব অনুধাবন করে না। অর্থাৎ অতীব প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও এখানে পদুয়ারবাজার বিশ্বরোডের আদলে একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করা হচ্ছে না। তাই স্কুল প্রশাসন বাধ্য হয়ে তাদের একজন দারোয়ান শিবু দাসকে মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। স্কুল শুরুর পুর্বে এবং ছুটির পরে মহাসড়কে লাল পতাকা দিয়ে গাড়ি থামিয়ে শিক্ষার্থী পারাপার করে। এ বিষয়ে শিবু দাসকে জিজ্ঞাস করলাম- এভাবে মহাসড়কের দ্রুতগতির গাড়ি থামিয়ে দেন যে আপনার ভয় করে না? শিবু দাস বললেন- এটা আমার চাকরি। স্কুল থেকে দায়িত্ব দিয়েছে তাই করি। গাড়ি থামাতে গিয়ে মাঝেমাঝে নিজেরও ভয় হয়, যদি গাড়ি না থামিয়ে আমার গায়ে তুলে দেয়! একটি ফ্লাইওভার (ফুটওভার) ব্রীজ তৈরি করলে আমি আমার এই বিপদজনক অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে রেহাই পেতাম।
ইতোমধ্যে আমাদের আমেরিকা প্রবাসী বন্ধু কাজী হক (নিজ বাড়ি গার্লস স্কুলের পেছনে) স্কুল শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের উক্ত স্থানটি দিয়ে রাস্তা পারাপারের ভয়াবহতা বিবেচনা করে তাঁর স্ব-অর্থায়নে একটি আধুনিক ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করে দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, এ রাস্তা দিয়ে আপনার আকস্মিক ঝটিকা সফরের সময় একটু যাত্রা বিরতি দেয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারের ভয়াবহ দৃশ্য সরেজমিনে অবলোকন করে জরুরী ভিত্তিতে এখানে কুমিল্লা পদুয়াবাজার বিশ্বরোডের ফুটওভার ব্রীজের মত একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মার্ণের পদক্ষেপ নিন। এই মুহুর্তে যদি ফান্ড পাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে অত্র এলাকার কৃতি সন্তান, অত্র স্থান দিয়ে রাস্তা পারাপারের ভুক্তভোগি, আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী জনাব কাজী এনামুল হককে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হোক। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সম্মানিত মেয়র মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।।
লেখকঃ মোশাররফ হোসেন