চৌদ্দগ্রামে ছাত্রলীগ নেতার হাতে যুবলীগ নেতা খুন
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিঃ চৌদ্দগ্রামে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমান নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাবিবুর রহমান উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের পুত্র ও ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।
আতিকুল ইসলাম আজাদ দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের আলী এরশাদের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহত হাবিবুর রহমানের ভাই কামাল উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান জগন্নাদীঘি ইউনিয়নের কাকৈরখোলা কমিউনিট ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আতিকুল ইসলাম আজাদ, মোতালেব হোসেন, মো. ইয়াছিন, ছালেহ আহমেদ সুবজ কর্তৃক স্থানীয় মেয়েদেরকে ইভটিজিংয়ে বাধা দিয়ে আসছিল। এনিয়ে হাবিবের উপর ক্ষীপ্ত হয় তারা। এক পর্যায়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত আটটার দিকে হাবিব, তার বন্ধু এমদাদুল হক জুয়েল ও নবী হোসেনকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চৌধুরী বাজার যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নারানকরা দক্ষিণ পাড়ায় রাস্তার উপর ছাত্রলীগ নেতা আজাদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাবিবের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এসময় হাবিবের সঙ্গে থাকা জুয়েল ও নবীর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত হাবিবকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে এগারটায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এঘটনায় নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আজাদ, মোতালেব, ইয়াছিন ও ছালেহ আহমদ সবুজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামী ছালেহ আহমদ সবুজকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।