কুমিল্লা-সিলেট সড়কে লিপস্টিক ওয়ার্ক নয় চাই টেকসই উন্নয়ন
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা- সিলেট সড়কের দেবিদ্বার অংশ সহ বিরাট একটি অংশ ভেঙ্গেচুরে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে।প্রতিদিনই কোন না কোন যায়গায় যানবাহন বিকল হয়ে দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি করে। এতে করে নিত্য কাঁচা পণ্য সহ মানুষের ভোগান্তির সীমা থাকেনা। কত যে যন্ত্র না ময়- তা কেবল ভূক্তভূগী-রাই জানে! সড়ক পথে আমাদের দেশে টেকসই উন্নয়ন না হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে দূর্ণীতি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের পিয়ন-কেরানী- প্রকৌশলী সহ তাঁর বহু উপর লেভেল পর্যন্ত পারসেন্টিস গড়ায়।ফলে টেকসই উন্নয়নের পরিবর্তে বর্ষা টু বর্ষা প্লানে কাজ হয়ে থাকে।অর্থাৎ বর্ষা শেষে ভগ্ন রাস্তার কাজ এমন ভাবে করবে যেন আগামী বর্যায় ভেঙ্গেচুরে ধুয়ে-মুছে নতুন করে আবার টেন্ডার আহব্বান উপযোগী হয়ে উঠে।এভাবেই যুগযুগ ধরে রাস্তা-ঘাটের রিপেয়ারিং এর নামে চলছে রাজস্ব আয়ের জনগণের টাকার হরিলুট। ফলে,রাস্তা-ঘাট বিষয়ে টেকসই উন্নয়নের কোন পদ্মতির উদ্ভাবন প্রকৌশলীদের ব্রেইন থেকে বের হতে চায়না। জনকল্যাণমুখী রাস্তা-ঘাট গুলি বাস্তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জনবলের উপড়ি আয়ের প্রধান উৎস এবং আশির্বাদ।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক বছর ধরে পীচ ঢালাইয়ের পরিবর্তে আংশিক কংক্রিট ঢালাই কিংবা এ জাতীয় টেকসই পন্থায় সড়ক নির্মাণের গুরুত্বরোপ করলেও তেমন আগ্রহী নয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের জনবল। বৃষ্টির পানিজমে যে রাস্তা প্রতি বছর ভাঙ্গে সেই রাস্তা বা অংশটুকু প্রতিবছর বর্ষা শেষে আবারও পীচ ঢালাই হবে কেন? প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও ঢালাই কিংবা ড্রেনেজ ব্যবস্থা কেন থাকছে না? সড়কের দু’ধারে আরসিসি ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখার কথা প্রকৌশলী গণ কেন ভাবছে না? কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বরোপ করতে হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট বিভাগের জনবল কি ঘোড়ার ঘাস কাটে?
চলতি বর্ষা মৌওসুম শেষে, হয় ফোরলেন না হয় টেকসই উন্নয়ন। আমরা লিপস্টিক ওয়ার্কের নামে রাজস্ব আয় বর্ষার পানিতে ধুয়ে-মুছে যায়-এমন জায়গায় ঢালতে পারি না।
দেশের পূর্বান্চলীয় পর্যটন নগরী সিলেট ও বান্দরবন – কক্সবাজার এর মধ্যে সেতুবন্ধন কারী একমাত্র এ সড়কটির টেকসই উন্নয়ন যত ত্বরান্বিত হবে পর্যটন শিল্পে বিকাশে তত বেশী সহায়ক হবে।
লেখকঃ আব্দুর রহমান ভূঁইয়া