লোটাস কামালকে ৭২ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন সফিক শিকদার
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যক্ষ কালাম মজুমদারের পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার সূত্র ধরে এই আল্টিমেটাম দেন কুমিল্লা জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সফিক শিকদার। গতকাল তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী মোস্তফা কামাল কে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।
সফিক শিকদার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “বুহত্তর কুমিল্লা জেলার এক সময়ের বেস্ট পার্লামেন্টারিয়ান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুমিল্লা ( দ:) জেলা র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্ত্তমান কুমিল্লার সকল আওয়ামী সংগঠন, অংগ ও সহযোগী সবকটি সংগঠনের নেতা- কর্মি দের আদ র্শ, নন্দিত প্র য়াত জন নেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের বহু কস্টার্জিত রেখে যাওয়া ভূমি সম্পদ ক্ষমতা ও পেশী শক্তির জোড়ে ( গড ফাদার মদদ পুস্ট) অবৈধ বানিজ্য প্রতিসঠান ম্যাক্স দখল নিতে গেলে মরহমের ভ্রাতুষ্পুত্র প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী হাম্লার নির্মম শিকার: এমদাদুল হক মজুমদার কুমেক হাসপাতালে। আমি পরিস্কার ভাষায় দ্ব্যর্থ হীন কন্ঠে হুশিয়ারি উচ্চারণ করছি: অমাননীয় মন্ত্রী ( পরিকল্পনা) মহোদয় ” মোতালিব- মফিজ সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আদৌ কোনো ইচ্ছা বা হ্যডম আপনার আছে কি না”! না থাকলে কুসিক নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি র পরে অবিশ্যাস্ব স্টেটমেন্ট দিয়ে কুমিল্লা বাসীকে হতবাক এবং নির্বাক করে দিয়েছিলেন, তেমনি দায়সারা গোছের কিছু একটা বলে দিন প্লিজ। পরেরটা আমরা দেখবো ইনশাল্লাহ। কালাম ভাই নেই। তাঁর আদর্শ বেচে আছে। লাখো অনুসারী দের একত্রিত করতে ম্যাক্সিমাম ৭২ ঘন্টা লাগবে। দলের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে কামাল ভাই (. লোটাস) আপনাকে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হলো। নিশ্চই আপ্নি চান্না মরহুম কালাম ভাইয়ের কবরের আগুন নাংগল কোর্টের সমগ্র এলাকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরুক। চেতনার ও শুভ বুদ্ধির উন্মেষ ঘটুক, আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ মরহুম কালাম ভাইয়ের। আত্মা শান্তি তে থাকুক। জয়বাংলা।”
উল্লেখ্য, ঘটনার বিবরণে জানা যায় বাগমারা মহিলা কলেজ সংলগ্ন কালাম মজুমদারের কবর,তার পাশে কালাম মজুমদারের বড় ভাই এরশাদ মজুমদারের ৩০ শতক পৈত্রিক সম্পত্তি। সেই জমিটি দীর্ঘ দিন চাষাবাদ করতো। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেমের ইট ভাটার জন্য বছরে ২০ হাজার টাকায় বর্গা দেওয়া হয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার মুঠো ফোনে এরশাদ মজুমদার জানতে পারে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাগমারা দ্যূতিয়াপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মফিজ ,তার ভাই মোতালেব,ভাই মোশাররফ সহ বেশ কয়েকজন মিলে ওই সম্পত্তিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান করছে। খবর পেয়ে এরশাদ মজুমদারের বড় ছেলে এমদাদ মজুমদার বাগমারা বাজার থেকে একা ছুটে এসে নির্মান শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করে ঘর কে করছে,কাজ বন্ধ করো। ওই জমির পাশেই মফিজের বাড়ি। ছুটে আসে মফিজ,তার ছেলে মোশাররফ। এসেই এমদাদকে বেদড়ক মারধোর শুরু করে। কোন কথাবার্তা ছাড়াই মা-বাবা তুলে গালমন্দকরে বলে,এই জায়গায় আমরা ঘর করবো,তোকে কি জিজ্ঞাস করবো। মারামারির এক পর্যায়ে ছুটে আসে মোতালেব। সে এসেও উস্কানী দিয়ে বলে ঘর তুললে ক্ষতি কি। এক পর্যায়ে এমদাদকে বেদড়ক মারধোর করে তাকে অজ্ঞাণ করে ফেলে। পরে মোতালেব তার ভাই মফিজ,ভাতিজা মোশাররফসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এমদাদকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি এমদাদের পরিবার উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, দক্ষিণ জেলা আ’লীগ নেতা ও লালমাই ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মমিন মজুমদার ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালকে অবহিত করেন। এমদাদ থানায় মামলা করতে গেলে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মামলা না নিয়ে তদন্তপূর্বক মামলা গ্রহণের পরামর্শ দেয়।