কুমিল্লার রাজনীতি: সফিক সিকদারকে পরিকল্পনা মন্ত্রীর ফোন
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ শনিবার কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলা বাগমারায় মোতালেব ও মফিজ গং দের নেতৃত্ব সন্ত্রাসী চক্র বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক , বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বিখ্যাত পার্লামেন্টিয়াল প্রয়াত অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের পারিবারিক সম্পত্তি দখল করতে গেলে তাঁর ভাতিজা এমদাদুল হক মজুমদার বাধা দিলে সন্ত্রাসী চক্র তাকে মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করে । সদর দক্ষিন থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশিত হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা (লোটাস কামাল) কামালের নিজ গ্রামে অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের পৈতৃক সম্পত্তি দখল ও পরিবারের উপর হামলার দুঃসাহস মোতালেব গং দের হয় কি করে ? এদিকে এ ঘটনা প্রতিবাদে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক , কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিপি সফিকুল ইসলাম সিকদার ঘটনা নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি , সদর দক্ষিন ও নাঙ্গলকোট আসনের সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামাল কে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে আলটিমেটাম দেন । গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩ ঘটিকায় পরিকল্পনা মন্ত্রীর পি এস রতন সিনহা ফোন করে সফিক শিকদারের সাথে মন্ত্রী কথা বলতে চান জানালে দু জনের মধ্যে প্রায় বিশ মিনিট কথপোকথন হয় । এক সময় ঘনিষ্ঠ দু নেতার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দুরত্ব চলছিল । ১২ বছর একসাথে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন আহবায়ক লোটাস কামাল , যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুল হক , অধ্যক্ষ আফজাল খাঁন ও সফিকুল ইসলাম সিকদার । এ বছর কুমিল্লা নামে বিভাগ আন্দোলনের সময় ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে সরাসরি লোটাস কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর ছুঁড়েন সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী , সাড়া জাগানো ছাত্রনেতা সফিকুল ইসলাম সিকদার । সর্বশেষ নিজের সহকর্মীর রাগ ভাঙ্গাতে লোটাস কামাল তাকে ফোন দিয়ে অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের পরিবারের উপর হামলা ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন । অভিমান ভুলে গিয়ে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে একযোগে কাজ করতে অনুরোধ জানান । দু জনের মধ্যে মান-অভিমানের অনেক বিষয়েও আলাপন হয় বলে বিশেষ সুত্রে জানা যায় । উল্লেখ্য সফিকুল ইসলাম সিকদার রাজনৈতিক মারপ্যাচে জেলা কমিটি ও মহানগর কমিটিতে স্হান পান নি যা তৃনমুলের কর্মীদের ক্ষোভের সঞ্চার হয় ।